স্টাফ রিপোর্টার :
বিশ^নাথে নাজমা বেগম নামের এক নারী ও তার সহযোগীদের একাধিক মামলা ও হয়রানির শিকার হয়েছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী জবান আলী। এমনকি পারিবারিক রাস্তা দখল করে রেখেছেন এবং ওই রাস্তা দিয়ে লাশ নিয়ে যেতে বাঁধা দিচ্ছেন
গতকাল সোমবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেছেন, বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব মণ্ডল কাপন গ্রামের মৃত বাবুল আহমদের পুত্র হাফিজ মো. শাবলু আমিন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমার দাদা জবান আলী যুক্তরাজ্য প্রবাসী হওয়ায় উনার সব সম্পত্তি আমরা আত্মীয় স্বজনরা দেখাশোনা করি। পারিবারিক কবরস্থানের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি পূর্ব মণ্ডল কাপন গ্রামের উমর আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা বেগম বন্ধ করে দিয়ে এই ভূমি আত্মসাতের চেষ্টা করছেন। এতে তাকে সহযোগিতা করছেন একই এলাকার শানুর মিয়া, তার ভাই মজলিশ ভোগশাইল গ্রামের নোয়াব আলী এবং নাজমা বেগমের চাচাতো ভাই বিশ্বনাথ বাজারের ব্যবসায়ী রিপন আহমদ।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ‘পারিবারিক রাস্তা দিয়ে লাশ নিয়ে কবরে যেতেও বাধা দিচ্ছে নাজমা বেগম ও তার সহযোগিরা। তাদের বাধার কারণে বেশ কয়েকজনের মরদেহ বহনের সময় আমরা রাস্তা দিয়ে যেতে পারিনি। বাধ্য হয়ে ক্ষেতের জমির উপর দিয়ে গিয়ে লাশ দাফন করতে হয়েছে।’
শাবলু আমিন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সালিশ বৈঠক হলেও নাজমা বেগম গ্রাম্য সালিশ অমান্য করেছেন। পরবর্তীতে নিরূপায় হয়ে আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আমাদের নিকটাত্মীয় দুলাল আহমদ বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে দায়ের করেন। আদালত ২০২১ সালের ১ ডিসেম্বর এই জায়গার উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।’
তিনি আরও জানান, এর পূর্বে নাজমা বেগম তার সহযোগী শানুর মিয়াকে দিয়ে ফুফাতো ভাই মোগলাবাজার থানার বড়চক গ্রামের মৃত মকরম আলীর ছেলে সোমেলদের বিরুদ্ধে গত ২০১৫ সালে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে সিআর মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্ত করতে বিশ্বনাথ থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন। তদন্তে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় মামলাটি গত ওই বছরের ২৯ জুলাই নিষ্পত্তি করে দেন আদালত।
পরবর্তীতে আবারও নাজমার সহযোগী শানুর বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিবিধ মামলা দায়ের করেন। আদালত সেটি সত্যতা না পেয়ে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল নথিজাত করেন। মামলাগুলোতে ব্যর্থ হয়ে নাজমা বেগম বাদী হয়ে গত ২০২০ সালের ৯ জুলাই মিথ্যা ঘটনা সাজিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় অভিযোগ দেন। সত্যতা না পাওয়ায় থানা পুলিশ সেটি আমলে নেয়নি। এভাবেই বারবার মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে জনাব আলী-শাবলু আমিনদের হয়রানি করে যাচ্ছেন তিনি।
শাবলু আরও অভিযোগ করেন, ‘নাজমা বেগম এবং তার সহযোগীরা মিথ্যা মামলায় হয়রানির পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমে আমার দাদা যুক্তরাজ্য প্রবাসী জবান আলী ও আত্মীয়-স্বজনদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের সে ভাড়া করছে।’
তিনি জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নাজমা বেগম ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।