দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক ফোরামে বাংলাদেশের সম্পৃক্তি ও সমৃদ্ধিতে তিনি এক রূপান্তরের নায়ক। একজন ভাষা সংগ্রামী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিত বাংলাদেশের ইতিহাসের অংশ। তিনি প্রথাগত রাজনীতির পথে না হেঁটে জাতির বিকাশমান ধারাকে অগ্রবর্তী করেছেন। ঐতিহ্যের পরম্পরা ধারণ করে দলীয় রাজনীতি করেও হয়ে ওঠেছেন সর্বদলীয় অভিভাবক। আবুল মাল আবদুল মুহিত ছিলেন অফুরন্ত জীবনীশক্তির অধিকারী এক প্রাণবন্ত মানুষ। সদা হাস্যোজ্জ্বল কর্মযোগী, ধ্যানী এই মানুষটির স্পষ্টতা, সরলতা ও সাহসিকতা সব মহলে প্রশংসিত। সরলতা, সততা ও সত্যকথনের এক জীবন্ত কিংবদন্তির নাম আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
সিলেট ডায়াবেটিক সমিতির সম্মানিত জীবন সদস্য, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এর মৃত্যুতে সিলেট ডায়াবেটিক সমিতি আয়োজিত শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্য প্রদানকালে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন সিলেট ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম. এ. আহবাব ।
১৬ মে সোমবার সমিতির সভা কক্ষে সিলেট ডায়াবেটিক এন্ড জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ললিত মোহন নাথ এর পরিচালানায় শোক সভার শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন বন্দরবাজার কালেক্টরেট জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফিজ মাওলানা মো: শাহ আলম।
সিলেট ডায়াবেটিস সমিতি আয়োজিত শোক সভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন, সিলেট ডায়াবেটিক সমিতির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. আজিজুর রহমান, সাধারন সম্পাদক লোকমান আহমদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ- শিবব্রত ভৌমিক চন্দন, সদস্য জামিল আহমদ চৌধুরী, মো: বশিরুল হক ও সিলেট ডায়াবেটিক এন্ড জেনারেল হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট ডা. মো: আলাউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির ইতিহাসে আবুল মাল আব্দুল মুহিত একজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিত্ব। এর একটি বড় কারণ হচ্ছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে মি. মুহিত সবচেয়ে বেশি সময় যাবত অর্থমন্ত্রী ছিলেন। এর মধ্যে ২০০৯ সাল থেকে টানা ১০ বছর তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন এবং সবচেয়ে বেশি বাজেট তিনিই উপস্থাপন করেছেন। বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব আবদুল মুহিত বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে অনেকটা ঘরবন্দি ছিলেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের হননি। ব্যস্ত ছিলেন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে। বেশিরভাগ সময়ই বই পড়তেন। নিয়মিত লেখালেখিও করেছেন। উনার মৃত্যুতে সিলেটবাসী একজন রাষ্ট্রীয় সম্পদই হারায় নি, হারিয়েছে বহু গুণে গুনান্নিত একজন অভিভাবকও।
শোক সভা শেষে মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয় ও শিরণী বিতরণ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি