জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের বড়ফেছি গ্রামের মৃত শাহ মনু মিয়ার ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক শাহ খায়রুল ইসলাম সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জড়িয়ে ফেসবুকে অপ-প্রচার ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। সাবেক ইউপি সদস্য শাহ খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে আশারকান্দি ইউনিয়নের জহিরপুর গ্রামের মৃত ওয়াজিব উল্লার ছেলে সাবেক চেয়ারম্যান দ্বিনুল ইসলাম বাবুল, মৃত আপ্তাব মিয়ার ছেলে আবদুর রহমান ওরফে ছুরুক, মৃত ছৈফ উল্লার ছেলে আজিজুর রাজা চৌধুরী আনা, সিরাজ আলীর ছেলে সৈয়দ এনামুল মিয়া, মৃত মছদ্দর আলীর ছেলে শাহনাজ মিয়া, মৃত বারিক মিয়ার ছেলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী শানুর মিয়া ও মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে তারেক মিয়া সহ গং আরো ৭/৮ জনকে বিবাদী করে ১০ মে মঙ্গলবার জগন্নাথপুর থানায় জিডি করেন। জিডি নং-৪৬০।
এতে তিনি উল্লেখ করেন জহিরপুর গ্রামের নাহার ভিলার বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী শেখ আবদুল হক তারেক আমার মামাতো ভাই। তিনি প্রবাসে থাকায় তাঁর জায়গা-সম্পত্তি দেখাশোনা করেন খালাতো ভাই আমির আলী জুয়েল। মাঝে মধ্যে আমিও প্রতিনিধিত্ব করি। তবে বিবাদীদের সাথে জায়গা-জমি নিয়ে প্রবাসী শেখ আবদুল হক তারেকের বিরোধ দেখা দিলে আমি তাতে প্রতিনিধিত্ব করায় আমাকে ও আমার খালাতো ভাই আমির আলী জুয়েল ও ভাতিজা এমেল রাজা চৌধুরীকে প্রাণনাশের হুমকি সহ বিবাদী যুক্তরাজ্য প্রবাসী শানুর মিয়ার ফেসবুক আইডি দিয়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে মানহানিকর পোস্ট লিখে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসিয়ে দেয়ার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। ০০৪৪৭৪৮৮৫৮৯২৯৬ নাম্বার থেকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়। এসব হুমকিতে নিরাপদে চলাচলের সাহস পাই না এবং জানমালের ক্ষতি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হতে পারে বলে জিডিতে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য ও আশারকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক শাহ খায়রুল ইসলাম বলেন, মানহানিকর অপ-প্রচার করে আমাদেরকে সমাজে হেয় করা সহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। তাই নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, একটি সভ্য দেশে থেকে শানুর মিয়া কিভাবে এমন অপ-প্রচার চালাচ্ছে, তা আমার বোধগম্য নয়।
১১ মে বুধবার বিকেলে এ বিষয়ে জানতে বারবার চেষ্টা করেও মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় সাবেক চেয়ারম্যান দ্বিনুল ইসলাম বাবুলের মন্তব্য পাওয়া যায়নি। প্রবাসে থাকায় পাওয়া যায়নি শানুর মিয়ার মন্তব্য ও চেষ্টা করেও অন্যদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে জগন্নাথপুর থানার এসআই জিয়া উদ্দিন জানান, আমি এখন থানায় নেই। শুনেছি একটি জিডি তদন্তভার আমার উপর আছে। থানায় এসে বিষয়টি দেখবো।