কাজিরবাজার ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সত্য ও সুন্দরের উন্মেষ ঘটিয়ে আঁধার কাটিয়ে আলোর রূপ প্রতিষ্ঠা করাই রবীন্দ্র দর্শনের মূল ভিত্তি। প্রেম, ভালোবাসা, প্রার্থনা, মানবতা ও সৃষ্টিকর্তার মতো বিষয়ের নিগূঢ় সম্মেলন রবীন্দ্র লেখনীতে সমুজ্জ্বল।
রবিবার (৮ মে) বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়ি প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিরীন শারমিন চৌধুরী উপরোক্ত মন্তব্য করেন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর, স্মারক বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক সনৎ কুমার সাহা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের এমপি ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। অনুষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, রবীন্দ্রনাথ তার সাহিত্য জীবনের উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়েছেন শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে। এ সময় তার রচিত সাহিত্য বাংলা ভাষা ও বাঙালিকে গৌরবান্বিত এবং সমৃদ্ধ করেছে। শিলাইদহ পর্বে কবি লিখেছেন- ‘সোনার তরী’, ‘চিত্রা’, ‘চৈতালি’, ‘ক্ষণিকা’ সহ অসংখ্য কবিতা। এছাড়াও অর্ধশতাধিক ছোটগল্প এবং ভ্রাতুষ্পুত্রী ইন্দিরা দেবীকে পাঠানো পত্রগুচ্ছ ‘ছিন্নপত্র’ লিখেছেন তিনি।
স্পিকার বলেন, বাংলার অপূর্ব সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে কবিগুরু লিখেছেন ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি। ’ এটি পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গ্রহণ করেন। এছাড়াও বিভিন্ন রচনায় বাংলা ও বাঙালির প্রতি কবিগুরুর আবেগ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
বিশ্বকবির লেখায় যেমন সামাজিক অনাচার, অবিচার, অত্যাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ রয়েছে, তেমনি আছে সমাজে নারীর অবস্থান, সম্মান ও নারী অধিকারের বিষয়ে সোচ্চার ডাক। তিনি রবীন্দ্রনাথকে জানার মাধ্যমে জীবনবোধ জাগ্রত করে শোষণ, বৈষম্যহীন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে অগ্রসর হতে তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
কুঠিবাড়িতে উপস্থিত হয়ে স্পিকার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে একটি বকুল গাছ রোপণ করেন।