জগন্নাথপুরে গ্রামীণ জনপদে ইটের রাস্তা পেয়ে খুশি সাধারণ মানুষ

10

মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদে ইটের রাস্তা পেয়ে উপকারভোগী মানুষ অনেক খুশি হয়েছেন।
জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের রাণীগঞ্জ বাজার থেকে কুশিয়ারা নদীর পাড় দিয়ে আঁকাবাঁকা হয়ে চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের হলিকোনা বাজার পর্যন্ত একটি গ্রামীণ রাস্তা রয়েছে। সংস্কারের অভাবে রাস্তাটি ভেঙে প্রায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল রাস্তা দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছেন।
অবশেষে ভুক্তভোগী জনতার দুর্ভোগ লাঘবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে চলতি ২০২২ সালের মার্চে দুই ধাপে ২ কিলোমিটার ইট সলিং রাস্তার কাজ শুরু হয়। রাণীগঞ্জ বাজার থেকে বাগময়না পর্যন্ত ৬৩ লাখ ৮৫ হাজার ৫০০ টাকা ব্যয়ে ১ কিলোমিটার রাস্তার কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স আদহাম এন্ড আরহাম ব্রাদার্স ও আটহাল থেকে হলিকোনা বাজার পর্যন্ত ৬৩ লাখ ৬৪ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয়ে আরো ১ কিলোমিটার রাস্তার কাজ পান ঠিকাদার রূপন মিয়া।
২৫ এপ্রিল সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, রাণীগঞ্জ বাজার থেকে বাগময়না পর্যন্ত ইট সলিং রাস্তার কাজ চলছে। এ সময় পথচারীরা জনতাকে নতুন রাস্তা পেয়ে অনেক খুশি হতে দেখা যায়। যদিও স্থানীয় বাগময়না গ্রামের বাসিন্দা আওয়ামীলীগ নেতা শাহানুর আহমদ সহ অনেকে জানান, রাস্তায় ভালো-মন্দ মিক্স ইট বসানো হয়েছে। কাজে কিছু অনিয়ম হচ্ছে। মাননীয় পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানকে অনেকবার বলার পর আমরা দীর্ঘদিনে কাঙ্খিত এ রাস্তার কাজ পেয়েছি। সুতরাং আমরা ওয়ার্ক ওয়ার্ডার অনুযায়ী ভালো ও মজবুত কাজ চাই।
তবে কাজের দায়িত্বে থাকা আরজান মিয়া বলেন, সরকারি ওয়ার্ক ওয়ার্ডার অনুযায়ী সঠিক গুণগতমান বজায় রেখে রাস্তায় কাজ হচ্ছে। এতে কোন ত্রুটি হচ্ছে না। জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারি প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন খান জানান, এ ইট সলিং রাস্তা নির্মাণ ও রাস্তার গাইড দেয়াল সহ প্রায় ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি, আগামী আরো ২ মাসের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।