স্টাফ রিপোর্টার :
করোনাকালীন বিধিনিষেধের কারণে গত দু’বছর সিলেটসহ সারা দেশে ঈদুল ফিতরে ভিড় করে কেনাকাটা করতে পারেননি লোকজন। এবার নেই করোনা। তাই আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কেনাকাটার জন্য সিলেট নগরীর রাস্তাঘাটে বেড়েছে যানবাহন এবং মানুষের চাপ।
আর এই সময়ে নগররীর বিভিন্ন রাস্তায় চলমান রয়েছে সিলেট সিটি করপােরেশনের নানা সংস্কার কাজ। ফলে মানুষের চলাচলের ক্ষেত্রে সড়ক সংকুচিত হয়ে নগরীতে বেড়েছ যানজট। ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে মানুষজনকে। ঈদ উপলক্ষে গত কয়েকদিন ধরে নগরীর সকল মার্কেট, শপিং মহলসহ দোকান-পাটে মানুষের ভিড়। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় লেগে থাকে। এর মধ্যে সিলেট সিটি করপােরেশনের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের আওতায় চলছে নর্দমা নির্মাণ ও সড়ক সংস্কারের কাজ। সড়কে ফেলা রাখা হচ্ছে নির্মাণসামগ্রী।
নগরীর বন্দরবাজার থেকে কিনব্রিজ এলাকা ঘুরে গেছে, সড়ক বেশ সংকুচিত হয়ে পড়েছে। সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনেও নর্দমার নির্মাণকাজ চলছে। এ জন্য সড়কের পাশে ফেলে রাখা হয়েছে ইট, পাথর, বাল। এ ছাড়া সড়কের পাশেই নির্মাণসামগ্রীসহ যন্ত্র রাখা হয়েছে। এতে সড়কের দুই পাশই সংকুচিত হয়ে এসেছে। রিকশা থেকে শুরু করে বিভিন্ন যানবাহনকে ধীরগতিতে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে যানজট লেগে রয়েছে সড়কটিতে। বিশেষ করে ইফতারের সময় মানুষের তাড়া থাকে বেশি। এসময় ভিড়ও থাকে, তাই মানুষকে পোহাতে হয় চরম ভোগান্তি।
এদিকে, নর্দমার কাজ চলায় পথচারীদের মূল সড়ক দিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। এতে বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান বলেন, সামনে বৃষ্টির মৌসুম। এ ছাড়া যারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকের কাজ করেন, ঈদের সময় বাড়িতে ফিরে যাবেন। সে সময় কাজ ১০-১৫ দিন বন্ধ থাকবে। এ জন্য কাজগুলো এখন করা হচ্ছে। এ কাজের ফলে যানজট কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে স্বীকার করে তিনি বলেন, কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।