স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট ল কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুলের রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার নগরীর শাহজালাল উপশহরের ই ব্লকের ১ নাম্বার রোডে ৩ নাম্বার বাসার ৫ তলার একটি মেসে এ ঘটনাটি ঘটে। নিহত কামরুজ্জামান বড়লেখা উপজেলার বর্নি মনারাই গ্রামের শাহাব উদ্দিনের পুত্র।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। এর আগে দিনের কোন এক সময় ওই ছাত্রদল নেতার মৃত্যু হয়।
এদিকে ছাত্রদলের নেতার মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। তার মৃত্যু স্বাভাবিক না অস্বাভাবিক এ নিয়ে শুরু হয়েছে কানাঘুঁষা। নিহতের বোন ফাহমিদা আক্তারের দাবী, তার ভাইকে পরিকল্পিত ভাবে কে বা কারা হত্যা করেছে। তবে পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে বুঝা যাচ্ছে তার স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এরপরও ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, গতরাতে কামরুল সেহরি খাওয়ার সময়ও স্বাভাবিক ছিলেন। শনিবার দুপুর দু’টোর দিকে মেসের জুনিয়র একজন বাড়ি যাওয়ার জন্য তাকে বলে যেতে তার রুমে প্রবেশ করলে কামরুলের নাক ও মুখে ফেনা দেখতে পান। পরে পুলিশকে জানানো হয়। ওসি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। যদি নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে পুলিশ তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে জানান তিনি।
অপরদিকে ছাত্রদল নেতা কামরুজ্জামান কামরুলের মৃত্যুর খবর পেয়ে বাসায় ছুঁটে যান সিলেট জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদসহ বিএনপি, ছাত্রদলসহ এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
শোকপ্রকাশ: সিলেট ল কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুলের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী।
নেতৃবৃন্দ এক বিবৃতিতে বলেন, কামরুল জাতীয়তাবাদী দলের একজন সক্রিয় কর্মী ও মেধাবী ছাত্র ছিলো। তার অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শোক সমপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেধনা প্রকাশ করেন।
