স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে ছাত্রদলের কার্যক্রম অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী কিছু কর্মসূচী পালিত হলেও এসব কর্মসূচিতে সিনিয়রদের চাইতে জুনিয়র নেতাকর্মীদেরই বেশী উপস্থিতি দেখা যায়। এর কারণ হচ্ছে সিনিয়র অনেক নেতাই জায়গা করে নিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল এমনকি মূল সংগঠন বিএনপিতে।
জানা গেছে, জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের দু’বছর মেয়াদের কমিটি এরই মধ্যে পার করেছে ৩ বছর। এখন পর্যন্ত নতুন কমিটি গঠনের তৎপরতা খুব একটা দেখা না গেলেও নেতাকর্মীদের অনেকেই বলাবলি করছেন ঈদের পর নতুন কমিটি হতে পারে। যে কারণে নতুন কমিটিতে আসতে নেতাকর্মীদের অনেকই তৎপর হয়ে উঠেছেন। তবে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দাবী মাঠের রাজনীতিতে যারা থাকেন, বিগত দিনে একাধিক মামলা যাদের বিরুদ্ধে পাশাপাশি সংগঠন করতে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে যারা হামলা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদের নিয়েই যেন নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৩ জুন আলতাফ হোসেন সুমনকে সভাপতি ও দেলোয়ার হোসেন দিনারকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা ছাত্রদলের ২৮ সদস্য ও সুদীপ জ্যোতি এষকে সভাপতি ও ফজলে রাব্বী আহসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ২৯ সদস্য বিশিষ্ট মহানগর ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদল। তবে একটি মামলায় প্রায় ৩ বছর যাবৎ সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার। ফলে তার স্থলে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ১ম যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন নাদিম। দীর্ঘ আড়াই বছর পরে ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সালে সিলেট জেলা শাখার ৩২১ সদস্য বিশিষ্ট ও মহানগর শাখার ২৬৬ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।
এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি ও সিলেট জেলা ও মহানগরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা সাজিদ হাসান বাবু দৈনিক কাজিরবাজারকে জানান, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় আগামী ঈদের পর সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি গঠন করা হবে। তিনি বলেন, মাঠের ডিমান্ড অনুযায়ী সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটি হবে। যদি ডিমান্ড অনুযায়ী সম্মেলনের প্রয়োজন হয় তাহলে সম্মেলন হবে। তিনি বলেন, বিগত দিনের মতো এবারও বিবাহিত ও অছাত্র এদেরকে কমিটিতে স্থান দেওয়া হবে না। বাবু জানান, যারা মাঠের রাজনীতিতে থাকবে এবং হামলা মামলায় যারা নির্যাতিত তারাই ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে আসবে।