ঈদ যাত্রা হউক নিরাপদ

12

ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ প্রতি বছরের নিয়মিত চিত্র। একেক বছর কারণে ভিন্নতা থাকলেও যাত্রীরা রেহাই পায় না দুর্ভোগ থেকে। করোনায় দুই বছর নানা বিধিনিষেধের কারণে মানুষের দুর্ভোগ হয়েছে। এর আগে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে নির্মাণাধীন সড়ক, ফেরি পারাপার, ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় কিংবা ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কারণে। এবার করোনা নিয়ন্ত্রণে থাকায় বিধিনিষেধ নেই। স্বাভাবিকভাবেই ঈদুল ফিতরে গ্রামমুখী মানুষের সংখ্যা বাড়বে। বিধি নিষেধের পরও গত বছর এক কোটির বেশি মানুষ ঢাকা ছেড়েছিল। এবার সংখ্যা আরও বাড়বে! মানুষের চাপ বাড়বে সড়ক, নৌ রেলপথ ও বিমানের ওপর।
ঈদে মানুষের ঘরে ফেরা নির্বিঘ্ন করতে প্রতি বছর সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়। ট্রেন, বাস ও লঞ্চের অগ্রিম টিকেট বিক্রি, ঈদের আগে পরে কয়েক দিন মহাসড়কে পণ্যবাহী ট্রাক-লড়ি নিষিদ্ধ করা, ফেরিঘাটে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নজরদারি, রাস্তার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার ইত্যাদি। এসব উদ্যোগ সত্ত্বেও রাস্তার যানজট ঠেকানো কঠিন হয় নানা কারণে। প্রধান কারণ যানবাহনের ড্রাইভারদের অসচেতনতা।
ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের দুর্ভোগ কমাতে প্রতি বছরের মতো এবারও সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। সরকারের উদ্যোগ বাস্তবমুখী। এর পরও মানুষের দুর্ভোগ কমানো যায় না। দুর্ভোগ কমাতে হলে প্রত্যেক গাড়ি চালককে সচেতন হতে হবে। নিজের একটু সুবিধার জন্য যেন হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি না হয়ে, সেই বোধ জাগ্রত করতে হবে। সবচেয়ে বেশি জরুরী সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। বিশেষ করে নির্মাণ কাজের জন্য এবার ঢাকা-ময়মনসিংহ এবং টাঙ্গাইল-রংপুর সড়কে দুর্ভোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। এখন থেকেই সড়কগুলোর ব্যবস্থাপনা ঠিক করতে পারলে হয়ত দুর্ভোগ কম হবে। আনন্দের ঈদযাত্রা যেন বিষাদে পরিণত না হয়, এই প্রত্যাশা সকলের।