স্টাফ রিপোর্টার :
করোনা মহামারির কারণে অনাড়ম্বর দুটি বৈশাখ কাটানোর পর বাংলা নববর্ষ আয়োজনকে ঘিরে প্রাণের ছোঁয়া লেগেছে সিলেটে। বর্ণিল এই উৎসব ঘিরে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো তৈরি করেছে ভিন্ন আঙ্গিকের দাওয়াতপত্রও। তবে এবার রমজানের কারণে কমিয়ে আনা হয়েছে আয়োজনের সময়। দুপুরের মধ্যেই শেষ হবে সব অনুষ্ঠান।
আজ বৃহস্পতিবার পহেলা বৈশাখের মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করবে জেলা প্রশাসন। সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শোভাযাত্রাটি নগরীর রিকাবীবাজারস্থ কবি নজরুল অডিটরিয়ামের মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হবে। এই আয়োজনের সহযোগিতায় থাকছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি।
এছাড়া আনন্দলোক সংগঠনটি নগরীর শ্রীহট্ট সংস্কৃৃত কলেজ মাঠে তাদের উৎসবের আয়োজন করছে। তাদের অনুষ্ঠান সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে। এতে আনন্দলোকের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন সংগীত-নৃত্য-আবৃত্তি পরিবেশন করবে। একই দিন সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘শ্রুতি’ নগরীর ব্ল-বার্ড স্কুল মাঠে রেখেছে তাদের বর্ষবরণের আয়োজন। ‘ফিরে চল মাটির টানে’ এমন আহবানে তাদের অনুষ্ঠান চলবে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
এদিকে দুই বছরের বিরতি শেষে বর্ষবিদায়ে বৃহস্পতিবার নানা আয়োজন রেখেছে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেট। তাদের আয়োজন হবে বিকেলে নগরীর চাঁদনীঘাটে। পরদিন তারা পহেলা বৈশাখ উদযাপন করবে। এছাড়া নাট্যসংগঠন একদল ফিনিক্স, কথাকলি ও উদীচীরও আছে বর্ষবরণে আলাদা অনুষ্ঠানের আয়োজন। এদিকে বর্ষবরণের আয়োজন নির্বিঘ্ন করতে সিলেটে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের।
এছাড়া রমজান মাসে নববর্ষ উৎসব হওয়ায় এবার বাড়তি নজরদারি থাকবে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মহানগরীর যে সকল জায়গায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে সেখানে পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিভিন্ন টিম মাঠে কাজ করবে। আশরাফুল্লাহ তাহের বলেন, প্রতিটি থানায় পুলিশের পেট্রোল টিম বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ থাকবে। সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাথে থাকবে পুলিশের সদস্যরাও। তিনি আরও বলেন, বাংলা নববর্ষ বাঙ্গালিদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অংশ। এ উৎসবকে ঘিয়ে যাতে কোনো রকমের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে সর্বদা সজাগ রয়েছে সিলেট মহানগর পুলিশ। এছাড়া এবার যেহেতু রমজান মাস, তাই রমজানের পবিত্রতা যাতে নষ্ট না হয় ও অনাকাঙ্খিক্ষত কোনো ঘটনা না ঘটে সেদিকে সর্বোচ্চ সতর্কতা থাকবে।