সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
ঝুঁকিতে থাকা সুনামগঞ্জের বোরো ফসলের হাওর নিয়ে সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে সোমবার সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ হাওরের ফসল না উঠা পর্যন্ত পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সচিব সহ সবাই সুনামগঞ্জে অবস্থান করার দাবী জানিয়েছেন সংসদে।
সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ হাওর এলাকা এর একমাত্র ফসল হচ্ছে বোরো ফসল। ১০-১৫ দিন সময় প্রয়োজন আমাদের বোরো ফসলটা ঘরে উঠার। কিন্তু আজকে এই মুহূর্তে আমাদের সুনামগঞ্জের বোরো ফসল হুমকির মুখে রয়েছে।
সুনামগঞ্জে এ বছরে বোরো ফসলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩ লক্ষ মে: টন। আমাদের যে ১২টি উপজেলা রয়েছে সে সব উপজেলায় ৫২টি হাওরে ২ লক্ষ ২২ হাজার ৬শ ৯৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। আমরা আশা করছি সুনামগঞ্জ জেলা থেকে এ বছর ১৩ লক্ষ মে: টন ধান আমরা পাবো। কিন্তু সীমান্তের ওপারে ঢল নামায় পাহাড়ী ঢল নেমে আসছে আমাদের হাওরে এবং সুনামগঞ্জেও গত কয়েকদিন যাত প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। আমি এলাকায় ছিলাম, গত শুক্রবার আমি জেলা প্রশাসন, পানি উন্নয়ন বোর্ড তাদের সাথে কথা বলেছি। আমার মনে হচ্ছে আমাদের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় এবং প্রশাসন এটার গুরুত্বটা বুঝতে পারছেন না।
২০১৭ সালে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ফসলহানির পরে সুনামগঞ্জ এসেছিলেন। ফসল হানি হলে আমার এলাকায় হাহাকার হয়ে যায় এবং এটা ঘটতে খুব বেশী সময় লাগে না। একদিনের মধ্যে ১-২টি বাঁধ ভাঙ্গা শুরু হলেই সমস্ত হাওর তলিয়ে যায়। গত শনিবার নজরখালী বাঁধ ভেঙ্গে টাঙ্গুয়ার হাওরের একটা অংশে পানি ডুকে গেছে। আরো ৩-৪ টি ও তাহিরপুরের আনন্দনগরের বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে, সেখানে স্থানীয় লোকেরা সেটা রক্ষার চেষ্টা করছে।
তাহিরপুর, ধর্মপাশা ও দিরাই উপজেলা কয়েকটি বাঁধ এখন হুমকির মুখে রয়েছে। এ বাঁধগুলো যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে ফসল আর রক্ষা করা যাবে না। মাত্র কয়েকটা দিন আমাদের দরকার ফসল তুলার জন্য। কাজেই এ ফসলকে গুরুত্ব দিয়ে আমি মনে করি পানিসম্পদ মন্ত্রণালায়, কৃষি মন্ত্রণালায় এখন তাদের সমস্থ কিছু বাদ দিয়ে সুনামগঞ্জের ফসল রক্ষা করা দরকার। এ ফসল যদি তলিয়ে যায় আমাদের বিদেশ থেকে এত পরিমাণ ধান আমদানী করা কঠিন। আজকে সংসদে পানি সম্পদমন্ত্রীয় উপস্থিত তিনি সুনামগঞ্জের ৫২টি হাওরের ফসল রক্ষার জন্য ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। এ বাঁধগুলো সঠিক ভাবে হয়েছে কি না যদি না হয়ে থাকে এই মুহূর্তে আর সময় নাই অনদ্যা স্পটে গিয়ে সমস্থ বাঁধে গিয়ে যা যা করা দরকার তা করতে হবে। এ মুহূর্তে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, সচিব সহ সবাই সুনামগঞ্জে অবস্থান করা প্রয়োজন।