ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
ওসমানীনগরে তাজপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। বুধবার দুপুরে উপজেলার তাজপুর কলেজে প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে কলেজের প্রিন্সিপালের রুমসহ অফিস কক্ষে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। আহতরা হচ্ছে, কলেজের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মোল্লা পাড়া গ্রামের আব্দুল মালিকের পুত্র আব্দুল মতিন (২১) ও ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মটিহানি গ্রামের মুধু মিয়ার পুত্র উজ্জ্বল মিয়া (২৪)। এর মধ্যে আহত আব্দুল মতিনের মাথায় মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় হামলার ঘটনায় কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাসহ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় তাৎক্ষণিক এক সপ্তাহের জন্য কলেজের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা দেয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।
জানা গেছে, বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র আব্দুল মতিন কথা কাটাকাটির জের ধরে ডিগ্রী ৪র্থ বর্ষের ছাত্র উজ্জ্বল মিয়ার হাতে ছুরিকাঘাতসহ হামলার চেষ্টা করে। এ সময় উজ্জ্বল মিয়া অন্যান্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে আব্দুল মতিনকে ধাওয়া করলে সে দৌড়ে কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষে প্রবেশ করে। পরবর্তীতে প্রায় ৪০ জন শিক্ষার্থী সংঘবদ্ধ ভাবে অধ্যক্ষের কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে আব্দুল মতিনের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে মারাত্মক আহত করে। অধ্যক্ষের কক্ষ ও অফিস কক্ষের কম্পিউটাসহ বিভিন্ন আসবাপত্র ভাংচুর করে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় কম্পিউটার অপারেটর আনা মিয়া আহত হয়েছেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মনু মিয়া বলেন, আমি হাসপাতালে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীর খোঁজ খবর নিয়েছি। এই ঘটনায় কলেজ গভর্নিং বডির সদস্যদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) এস এম মাইন উদ্দিন বলেন, থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীর খোঁজ খবর নিয়েছে। এই ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তাজপুর ডিগ্রি কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি ইউএনও নীলীমা রায়হানা বলেন, হাসপাতালে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীর খোঁজ খবর নেয়ার পাশাপাশি কয়েক দিনের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করার জন্য কলেজের অধ্যক্ষকে বলেছি।