জগন্নাথপুরে নলুয়ার হাওরে পানি নিষ্কাশন বন্ধ, শঙ্কিত কৃষকরা

7

জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুর উপজেলার নলুয়ার হাওরের পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে রীতিমতো শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।
নলুয়ার হাওরের ভূরাখালি খালের মুখে একটি স্লুইচ গেইট রয়েছে। স্লুইচ গেইটের পশ্চিম পাশে রয়েছে বেড়িবাঁধ। এ বাঁধের মাটির নিচে প্রতি বছর পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপ দেয়া হয়। এ পাইপের মাধ্যমে হাওরে জমে থাকা বৃষ্টির পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে। এবার ৪নং পিআইসি প্রকল্পের অধীনে খালের মুখে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এ সময় প্লাস্টিকের পাইপ দেয়া হলেও তা মাটির চাপে ধেবে গেছে। যে কারণে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যায়।
সরেজমিনে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এবার পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় বৈশাখ মৌসুম আসার আগেই বৃষ্টির পানিতে হাওরে জলাবদ্ধতা লেগে যাবে। এতে বোরো ধান নষ্ট ও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ৪নং পিআইসি কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি সদস্য আহমদ আলী বলেন, প্রকল্পের মধ্যে সরকারি ভাবে পানি নিষ্কাশনের পাইপ ধরা নেই। তবুও আমার ব্যক্তিগত ভাবে প্রায় ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে বড় বড় পাইপ দিয়েছিলাম। তবে পাইপগুলো মাটির চাপে ধেবে গেছে। বিষয়টি আমি প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমি নিজেও কৃষক। কৃষকদের কষ্ট আমি বুঝি। তাই হাওরে জলাবদ্ধতা যাতে না হয়, আমি সে বিষয়ে আরো ত্যাগ স্বীকার করবো। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ যদি পানির মেশিন দেন, তাহলে আমি ডিজেল দিয়ে পানি সেচের ব্যবস্থা করে দিবো। যাতে হাওরে জলাবদ্ধতা না হয়।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জগন্নাথপুর উপজেলা উপ-সহকারি প্রকৌশলী (এসও) হাসান গাজী বলেন, আমাদের কাজ হচ্ছে হাওর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা। আমরা তা করছি। এখানে কখনোই পানি নিষ্কাশনের পাইপ ধরা হয় না। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তবুও প্রতি বছর এ পিআইসি প্রকল্পের মাধ্যমে পাইপ দেয়া হয়।