স্টাফ রিপোর্টার :
পূর্ব শক্রতার জের ধরে গত ৩১ জানুয়ারি ৬ষ্ঠ ধাপের ইউপি নির্বাচনের দিন দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামালবাজার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হামলার ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে মারা যাওয়া মারুফ আহমদ (২৫) হত্যা মামলায় ১৩ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৩য় আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে তাদের আবেদন নামঞ্জুর হলে আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
জেল হাজতে প্রেরণকৃত আসামীরা হচ্ছে- আব্দুর রশিদের পুত্র জহুর আলী, আব্দুস সোবহানের পুত্র নুরুল আমীন, আমির আলীর পুত্র কাইয়ুম আহমদ ও শরিফ উদ্দিন, জহুর আলীর পুত্র জয়নাল আহমদ, জায়েদ আহমদ, জসিম উদ্দিন ও জাবেদ আহমদ প্রকৃত নাম জাকির হোসেন, মোহাম্মদ আলীর পুত্র নজরুল ইসলাম, আকবর আলীর পুত্র সোহাগ আহমদ, সেলিম আহমদের পুত্র শামীম আহমদ, আমির আলীর পুত্র বাবুল আহমদ ও মোহাম্মদ আলীর পুত্র জিকরুল ইসলাম। আসামীরা একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবি তাপস ভট্টাচার্য এডভোকেট। তিনি জানান, সোমবার আসামীরা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জানুয়ারি সোমবার দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামালবাজার ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটে সদস্য পদে মোঃ ছোয়াব আলী ফুটবল প্রতিকে ১১২ ভোট ও তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আমির আলী তালা প্রতিকে সমান সংখক ভোট পান। একই ওয়ার্ডে মাহমুদুল হাসান রাজু আপেল প্রতিকে ১১০ ভোট পান। নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আপেল প্রতিকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী মাহমুদুল হাসান রাজু, সুফি আহমদ, ফয়জুল হক, জহুর আলী ও নুরুল আমিনের নেতৃত্বে গুপ্তরগাঁও গ্রামের মোঃ ছোয়াব আলীর বাড়িতে হামলা করা হয়। এতে মোঃ ছোয়াব আলীর পুত্র মারুফ আহমদসহ পরিবারের ৫/৬ জন গুরুতর আহত হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত মারুফ আহমদকে প্রথমে সিলেটে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়াতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেখানে ৫ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা ১টা ৮ মিনিটে মারুফ আহমদ মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায়, ১ ফেব্রুয়ারি নিহতের পিতা মোঃ ছোয়াব আলী একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় এ পর্যন্ত পনেরো আসামী কারাগারে রয়েছেন।