‘জয় বাংলা’ জাতীয় শ্লোগান, জারি হবে প্রজ্ঞাপন

13

কাজিরবাজার ডেস্ক :
‘জয় বাংলা’কে জাতীয় শ্লোগান করা হচ্ছে। এ বিষয়ে মন্ত্রীসভা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে শীঘ্রই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। ব্যাংকসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতের নিরাপত্তা দিতে ‘ব্যাংক আমানত বীমা আইন’ পরিবর্তন করে ‘ব্যাংক আমানত সুরক্ষা আইন’ করা হচ্ছে। রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় শ্লোগান করার বিষয়ে মন্ত্রীসভা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ২০২০ সালে হাইকোর্টে একটি রায়ও আছে- ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় শ্লোগান হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এটা কেবিনেটে আলাপের পর সিদ্ধান্ত হয়েছে, ‘জয় বাংলা’কে কেবিনেট থেকে একটি সার্কুলার দিয়ে জাতীয় শ্লোগান হিসেবে প্রচার করে দিতে হবে। অবিলম্বে একটা প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
প্রজ্ঞাপন করতে কতদিন লাগবে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দু-একদিন, তিনদিন, চারদিন, এর বেশি তো লাগার কথা নয়। কোথায় কোথায় ‘জয় বাংলা’ বলতে হবে- এ বিষয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ‘তিন-চারটি ক্যাটাগরির কথা বিবেচনাধীন আছে। সাংবিধানিক পদধারীগণ, রাষ্ট্রের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী রাষ্ট্রীয় বা সরকারী অনুষ্ঠানের শেষে এটা বলবেন। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মাদ্রাসাসহ তাদের কোন সভা-সেমিনার যদি হয়, যে কোন ধরনের সমাবেশ হলে সেখানে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে হবে। যদি কোন অনুষ্ঠান হয়, সমাবেশ হয় সরকারী-বেসরকারী যারা থাকবেন জয় বাংলা স্লোগান ব্যবহার করবেন। এটা কেবিনেটের সিদ্ধান্ত।
ব্যাংক আমানত সুরক্ষা আইন হচ্ছে : ব্যাংকসহ সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানতের নিরাপত্তা দিতে ‘ব্যাংক আমানত বীমা আইন’ পরিবর্তন করে ‘ব্যাংক আমানত সুরক্ষা আইন’ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
বৈঠক শেষে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, ব্যাংকে যে টাকা-পয়সা রাখা হতো, সেটির একটি নিরাপত্তা, নিশ্চয়তা ছিল। কিন্তু বিভিন্ন লিজিং কোম্পানি বা ফিন্স্যাসিয়াল প্রতিষ্ঠান যে ডিপোজিট করত, সেখানে যারা ডিপোজিট করত তাদের কোন নিরাপত্তা ছিল না। সেজন্য ‘ব্যাংক আমানত বীমা আইন’ পরিবর্তন করে ‘ব্যাংক আমানত সুরক্ষা আইন’ করা হচ্ছে। ব্যাংক ছাড়াও যত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আছে, তারা সবাই এই আইনের আওতায় আসবে। ডিপোজিট নিতে হলে ব্যাংকের মতো তাদেরও বাংলাদেশ ব্যাংকে সেফটি হিসেবে টাকা জমা রাখতে হবে।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, আগে আইন ছিল ব্যাংক খোলার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকে সেফটি হিসেবে ডিপোজিট থাকে। কিন্তু লিজিং কোম্পানিগুলোর ছিল না। যুবক টাইপের যেসব কোম্পানি আছে, যারা টাকা-পয়সা লেনদেন করত, তাদের কোন সেফটি-সিকিউরিটি ছিল না। এই আইন সংশোধন করা হচ্ছে। যারা যে নামেই অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করবে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকে রেজিস্ট্রার্ড হতে হবে এবং তার বড় রকমের একটা মূলধন থাকবে, সেই মূলধনের একটি অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা থাকবে।
তিনি বলেন, লিজিং কোম্পানি উঠে গেলে গ্রাহকেরা দুই লাখ টাকা পর্যন্ত ওই ডিপোজিট থেকে পাবেন। ব্যাংক ছাড়া অন্য জায়গায় ডিপোজিট করতে সবাই সাবধান থাকবেন। আপনারা যে ডিপোজিট করবেন, কোন কারণে উঠে গেলে সরকার আপনার জন্য দুই লাখ টাকার দায়িত্ব নিচ্ছে। বাকিটা ওদের কাছ থেকে উদ্ধার করা গেলে যাবে। কত টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে হবে, তা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করে দেবে।