সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবং আগামী সব কয়টি নির্বাচনে বিজয়ী হতে সবাইকে সম্মিলিত ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও বেশি জোরদার করতে হবে। ওয়ার্ড কমিটিগুলোকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে হবে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে ইউনিট কমিটি গঠন প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে হবে। কমিটি গঠনের সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে অনুপ্রবেশকারীরা সুযোগ না পায়। দলে ঢুকে তারা সুযোগ সুবিধা নিয়ে বিতর্কিত কর্মকান্ড জড়িয়ে দলকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে তুলে। সেজন্য সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। যাচাই-বাছাই করে কমিটি গঠন করতে হবে। দলকে সুসংগঠিত করতে অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে হবেই। কোনো ভাবেই তাদেরকে দলে স্থান দেওয়া যাবে না।মেয়াদ শেষ হওয়া ওয়ার্ড কমিটি সমূহের সম্মেলন যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করে কমিটিগুলো নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা ও জননেত্রী শেখ হাসিনা’র টেকসই উন্নয়নের বাংলাদেশ গড়তে সবসময়ই ঐক্যবদ্ধ।
শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় মির্জাজাঙ্গালস্থ হোটেল নির্ভানা ইনের কনফারেন্স হলরুমে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির এক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোঃ জাকির হোসেন এর পরিচালনায় সভায় সাংগঠনিক ও বিবিধ বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়। আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, জি.এম.জেড কয়েছ গাজী, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটিএম হাসান জেবুল, আজাদুর রহমান আজাদ, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আজম খান, আব্দুল আজিম জুনেল, সুদীপ দে, মহসিন চৌধুরী। উপস্থিত সকল নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে কিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় প্রয়াত আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিশিষ্টজনের জন্য শোক প্রস্তাব আনা হয়। আনীত শোক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন হাজারী, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক নুরুল ইসলাম, সাংবাদিক পীর হাবিবুর রহমান, ২৪নং, ১৯ নং ও ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ মোঃ মকবুল ওরফে মকুল মিয়া, আবু সুফিয়ান নেবু, সাইদুল এর জন্য এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। উক্ত সভায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক উপকমিটির নেতৃবৃন্দ ইউনিট কমিটির বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত উপস্থাপন করেন। তাছাড়া আগামী ১১ মার্চে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে একটি বর্ধিত সভা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। একুশে ফেব্রুয়ারির কর্মসূচির বিষয়েও আলোচনা হয়। একুশে ফেব্রুয়ারির বিষয়ে সরকারী যে সব নির্দেশনা রয়েছে তা পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নেতৃবৃন্দ।
এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বিজিত চৌধুরী, নুরুল ইসলাম পুতুল, মোঃ সানাওয়র, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট বেলাল উদ্দিন, এাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মখলিছুর রহমান কামরান, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজাহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মহিউদ্দিন লোকমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আসমা বেগম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন রবিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমেদ চৌধুরী।
মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, এমরুল হাসান, সাব্বির খান, সৈয়দ কামাল, সাইফুল আলম স্বপন, তাহমিন আহমেদ, রোকসানা পারভীন, জাফর আহমদ চৌধুরী, তৌফিক বক্স লিপন, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, ইঞ্জিঃ আতিকুর রহমান সুহেদ, শিপা বেগম শুপা, জুমাদিন আহমেদ, ইলিয়াছ আহমেদ জুয়েল। বিজ্ঞপ্তি