স্টাফ রিপোর্টার :
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের আকিলপুর ও মৌলভীগাঁও গ্রামবাসীদের মধ্যে তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। ২ দফা সংঘর্ষের পর ফের সংঘর্ষে জড়াতে প্রস্তুতি নিচ্ছে উভয়পক্ষ। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে উভয়পক্ষ লাঠি-সোটা নিয়ে ফের সংঘর্ষে জড়াতে প্রস্তুতি হন।
এসব বিষয়ে মৌলভীগাঁও গ্রামের শফিক আহমদ বলেন, একটা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ঘটনার শুরু। মাদরাসার মিটিং চলাকালীন সময়ে উত্তেজিত হয়ে সৈয়দপুর গ্রামের আজাদ মিয়া হঠাৎ করে টেবিলে তাপড়া মারেন। অন্য একজন এর প্রতিবাদ করলে তাকেও গালিগালাজ করেন আজাদ মিয়া। এরপর কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। দুইজনের মাঝখানে আসায় মাদরাসা সুপারের গায়ে অনিচ্ছাকৃতভাবে একটা তাপড়া পড়ে। এরপর অনিচ্ছকৃত এ ঘটনার জন্য সবাই তার কাছে ক্ষমা চান। যার হাতে উনার গায়ে লাগছে তাকে দিয়েও মাফ চাওয়া হয়েছে। এরপরও তিনি সন্তুষ্ট না হলে শনিবারে অনুষ্ঠিতব্য মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়। এরপর ঘটনার সময় উপস্থিত না থাকা সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম উপস্থিত হন। তার মাধ্যমেও হুজরকে সান্তনা দিয়ে সবকিছু বুঝিয়ে বলা হয়। তাতে উনিও সন্তুষ্ট হন। তবে সমঝোতার পরও ভুক্তভোগীর বিরুদ্ধে হুজুরকে নিয়ে রাতের আঁধারে বিক্ষোভ করে ও পরদিন আবার উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে মানববন্ধন-মিছিল করে কিছু দুষ্ট প্রকৃতির লোকজন। এতে মাদরাসার ছাত্রদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। ঘটনার সমাধান করতে চেয়ারম্যান ও অন্য মুরব্বিরা একাধিকবার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আকিলপুর গ্রামের লোকজন বারবার সময়ক্ষেপণ করছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার আগে মিটিংয়ে বসার কথা থাকলে তারা তা করেনি। এরপর গতকাল সকাল ৮টার আগে মিটিংয়ে বসার কথা থাকলেও সমাধানের কোন আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
অন্যদিকে আকিলপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার বশির উদ্দিন বলেন, এখন আর মারামারি হবে না। মুরব্বিরা মধ্যন্ততার চেষ্টা করছে।
এদিকে সৈয়দপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, মাদরাসায় একটা সাধারণ সভা বসছিল। এখানে মাদরাসার কাজ-কর্ম নিয়ে আলাপ-আলোচনা চলছিল। তখন আর্থিক বিষয় নিয়ে মৌলভীরগাঁও গ্রামের আবুল খায়ের হল সুপার শাহজাহান সিরাজের পক্ষ নিয়ে ঝগড়া-বিবাদের একপর্যায়ে আমতাৎক্ষণিক মাফ চাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, এটা সত্য। আর আমি যে বাড়িতে আছি সেখান থেকে আমাকে মাদরাসায়ও যেতে দিচ্ছে না।
সার্বিক বিষয়ে মোগলগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিরন মিয়া বলেন, গতকাল একটা ঘটনা ঘটেছিল। এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। উভয়পক্ষকে নিয়ে সালিশের মাধ্যমে সমাধান হবে আশা করি। তবে সালিশ কবে, কোথায় হবে তা জানা যায়নি।