কাজিরবাজার ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মধ্যম সারির ১৮ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। বদলিকৃত বেশিরভাগই জেলা পর্যায়ে কর্মকর্তা। কে এম নূরুল হুদা কমিশনের বিদায়ের দিন সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এবং আজ মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এসব বদলির আদেশ হয় বলে ইসি সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার যেসব বদলির আদেশ হয়েছে, সেগুলোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মূলত সোমবার। তবে আদেশ জারি একদিন পরে হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী কে এম নূরুল হুদা কমিশন সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অফিস করে দুই শতাধিক ফাইলে সই করেন। এর বেশির ভাগই ইউনিয়ন পরিষদের গেজেট প্রকাশসংক্রান্ত। এছাড়া নির্বাচন কর্মকর্তাদের বদলি, ঢাকা জেলার অন্তর্ভুক্ত হযরতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোট গণনা, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম সংরক্ষণ, ইসির কর্মকর্তাদের আপ্যায়ন সংক্রান্ত ফাইলও রয়েছে। অফিস শেষ করে সন্ধ্যার পরে তারা আনুষ্ঠানিক বিদায় গ্রহণ করেন। পরে ডিনার শেষে বেশ রাতে বাসায় ফেরেন।
এদিকে কমিশনারদের সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা সোমবার রাত ১১টা পর্যন্ত অফিস করেছেন বলে জানা গেছে।
ইসির যেসব কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে যশোরের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বগুড়ায়, কুষ্টিয়ার সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা যশোরে, সিলেট আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা কুষ্টিয়ায়, নাটোরের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইসি সচিবালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব, দিনাজপুরের জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নাটোরে,ভোলার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাদারীপুরে,পটুয়াখালীর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ভোলায়, মাদারীপুরের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, নরসিংদীর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নোয়াখালীতে, নোয়াখালীর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নরসিংদীতে, বাগেরহাট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সাতক্ষীরায়, বরিশাল আঞ্চলিক কার্যালয়ের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বাগেরহাটে, সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার এক আদেশে ইসি সচিবালয়ের ৫ জন ব্যক্তিগত কর্মকর্তার দফতর বদল করা হয়েছে। জানা গেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি বদলিকৃত কর্মকর্তাদের ১৬ ফেব্রুয়ারি কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হতে বলা হয়েছে। অন্যথায়, ১৭ ফেব্রুয়ারি তারা তাৎক্ষণিক অবমুক্ত (স্ট্যান্ডরিলিজ) হবেন বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।