সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এ এইচ এম মাহফুজুর রহমান বলেছেন, প্রন্থাগার দিবসের সাথে আমাদের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযোদ্ধ ও মহান স্বাধীনতা অতপ্রতভাবে জড়িত। এসব ইতিহাস জানতে হলে বই পড়তে হবে। একটি বই আমাদের চিন্তা জগতকে পরিবর্তন করে দিতে পারে। তিনি বলেন, কোন কিছু জানতে চাইলে গুগোলে সার্চ করলে অনেক তথ্য চলে আসে কিন্তু কোনটা সঠিক কোনটা বেটিক বুঝা কঠিন হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে বইয়ের রেফারেন্স খুবই জরুরি। বইয়ে কোন ভূল বিষয় উঠে আসেনা। এজন্য বলা হয় বই পড়লে কেহ ঠকেনা। আমাদের নতুনদের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস খুবই কম। তাদের মধ্যে সৃজনশীল বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। আর এ অভ্যাস গড়ে তুলতে হলে আমাদেরকে গ্রন্থাগার মুখী হতে হবে। আধুনিক বিশ্বে গ্রন্থাগারের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। জাতির মর্যাদাবোধের উন্নয়নে প্রতিটি নাগরিকের নিয়মিত গ্রন্থাগারে উপস্থিত হয়ে জ্ঞানার্জন করা একান্ত প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, যতবেশি গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা যাবে ততবেশি দেশের উন্নতি ও উপকার হবে আর বই হবে সভ্য মানুষের সঙ্গী।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে সিলেট বিভাগীয় গ্রন্থাগার আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সিলেট বিভাগীয় গ্রন্থাগারের প্রিন্সিপাল ও লাইব্রেরিয়ান দিলিপ কুমার সাহার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ বায়জিদ খান, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা সাইদুর রহমান ভূইয়া, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, সিলেট সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষ ও আমাদের মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগারের সদস্য সচিব ফৌজিয়া আক্তার, কবি জ্যোতিরমান দাশ যিশু, কেমুসাসের লাইব্রেরী সম্পাদক ইসমত হানিফা চৌধুরী, ছড়াকার তারেশ কান্তি তালুকদার।
গায়ত্রী রায় এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরোও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ পাঠাগার আন্দোলন সিলেট শাখার সাধারন সম্পাদক বিমান তালুকদার, পাঠকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন মোঃ সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি