নগরীতে হঠাৎ করে সিএনজি অটোরিক্সায় যাত্রীবেশী ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয়

6

স্টাফ রিপোর্টার :
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে নগরীতে হঠাৎ করে সিএনজি অটোরিক্সায় যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠছে। এসব ছিনতাকারীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরাও।
নগরীতে প্রতিদিনই কোনো না কোনো স্থানে এসব ছিনতাইকারীদের শিকার হচ্ছেন সব শ্রেণীর মানুষ। এ সময়ে ছিনতাইকারীদের হাতে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। যাত্রীবেশী এসব ছিনতাইকারীদের দৌরাত্মায় অসহায় হয়ে পড়ছেন যাত্রীরা। নিরাপত্তার স্বার্থে’ নগরীর কিছু এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পরও তাদের গ্রেফতার করতে পারছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা বলছেন, ছিনতাইকারীদের দৌরাত্মা আগের মতো এখর আর নেই। বর্তমানে বিভিন্ন সড়কে পুলিশের তল্লাশি চৌকি বসানোসহ পেট্রোল ডিউটি করার কারণে ছিনতাই অনেকটায় কমে এসেছে। তাদের দাবি, ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। অপরাধীদের গ্রেফতারে প্রতিদিনই অভিযান চালানো হচ্ছে।
কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেছেন, নগরীতে বেড়ে গেছে চুরি, যাত্রীবেশে ছিনতাই ও ডাকাতির মতো ঘটনা। প্রায়ই কোনো না কোনো এলাকায় এসব ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। অটোরিক্সা চলাকালীন নিরাপদ স্থান বুঝে ছিনতাইকারীরা ধারালো অস্ত্র কিংবা পিস্তল ধরে অটোরিক্সার ওই যাত্রীর কাছ থেকে টাকা, মোবাইলসহ সবকিছু কেড়ে নিয়ে সর্বশান্ত করে তাকে নামিয়ে দিয়ে চম্পট দেয়।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, নগরী বেশকিছু পয়েন্টে পেশাদার ছিনতাইকারী চক্র বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে। এসব এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সা নিয়ে ছিনতাইকারীরা আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকে। একেকটি অটোরিক্সায় চালক ছাড়া আগে থেকেই দু’তিনজন যাত্রী ওঠে বসে থাকে। কোনো যাত্রী এলে তাকে অটোরিক্সায় তুলে নেয়া হয়। এক্ষেত্রে আগে থেকেই বসে থাকা যাত্রীরা কৌশলে ওই ব্যক্তিকে পেছনের সিটে মধ্যখানে কিংবা তাদের সুবিধাজনক জায়গায় বসিয়ে দেয়। এরপর অটোরিক্সা চলাকালে সুযোগ বুঝেই যাত্রীর জিনিষপত্র হাতিয়ে নেয় ছিনতাইকারীরা। আর কাজ শেষ হলেই ওই যাত্রীকে অন্ধকার স্থানে নামিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
নগরীর বন্দরবাজার টু মেজরটিলা, আম্বরখানা টু মদিনা মার্কেট, বন্দরবাজার টু হুমায়ুন রশীদ চত্বর, টিলাগড় টু আম্বরখানা, শাহজালার উপশহর টু সোবহানীঘাট-বন্দরবাজার, বন্দরবাজার টু আম্বরখানা, সুরমা পয়েন্ট টু ওসমানী মেডিকেল, মদীনা মার্কেট টু ভার্সিটি গেইট প্রভৃতি এলাকায় নিয়মিত সিএনজি অটোরিকশা চলাচল করে থাকে। বিভিন্ন ব্যাংক ও বড় বড় বিপণিবিতান সংলগ্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা বেশি থাকে।
সর্বশেষ গত সোমবার রাতে কাজলশাহ এলাকায় শমশের মমিন নামের এক চাকুরীজীবী ছিনতাইয়ের শিকার হন। এ সময় ছিনতাইকারী তার মোবাইল ফোন ও টাকা পয়সা লুট করে নিয়ে যায়। তিনি ঝামেলা এড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা বা জিডি এন্ট্রি করতে যাননি।
এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) বি.এম.আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, ছিনতাইকারীদের তৎপরতা বন্ধ করতে পুলিশ সব সময় সক্রিয় রয়েছে। প্রতিনিয়ত ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হয়। তার পরেও নগরবাসীর সচেতনতার প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।