ইলিয়াস আলীকে গুম করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না : কাইয়ুম চৌধুরী

6

নিখোঁজ বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ইলিয়াস আলী গুমের ১১ বছর পূর্ণ হয়েছে। কিন্ত আজ পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। গুমের ১১ বছর পূর্ণ হওয়ার পরও তাকে না পাওয়ায় এবং তার সন্ধান দাবীতে, বিক্ষোভ মিছিল, সরকার বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে সিলেট জেলা বিএনপি। রবিবার দুপুরে ইলিয়াস আলীকে ফিরিয়ে দেয়ার দাবীতে মিছিল সহকারে সিলেটের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকার বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেট জেলা বিএনপি।
স্মারকলিপিতে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশের জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলীর গুমের আজ ১১ বৎসর পূর্ণ হবে। ১১ বৎসর পূর্বে তাঁর ঢাকার বনানী বাসার নিকট থেকে তাকে এবং তাঁর গাড়ী চালক আনছার আলীকে গুম করা হয়। অধ্যবদি তাঁর ও তাঁর গাড়ী চালকের হদিস পাওয়া যায় নাই।
গুম হওয়ার পর সরকার প্রধান থেকে শুরু করে সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা আমাদের এই নেতাকে অক্ষত অবস্থায় খুঁজে বাহির করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রæতি দিলেও ১১ বৎসরেও তাহা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া সিলেটের সাবেক ছাত্র নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার ও জুনেদ আহমদ গুমের শিকার হয়েছেন। এমতাবস্থায় আমাদের এই প্রান প্রিয় নেতা এম ইলিয়াস আলী ও তাঁর গাড়ী চালক আনছার আলী, ইফতেখার আহমদ দিনার ও জুনেদ আহমদকে অবিলম্বে অক্ষত অবস্থায় খুঁজে বাহির করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।’ স্মারকলিপি প্রদানপূর্ব মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, বিএনপি এবং বিএনপির নেতাদের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সিলেটবাসীর প্রিয়নেতা এম. ইলিয়াস আলী সহ অসংখ্য অগনিত নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে। ইলিয়াস আলীকে গুম করে গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না। বরং আন্দোলনের দাবানল তীব্র থেকে তীব্র ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এই সরকারের বিদায় না হলে গুম হওয়া নেতাকর্মীদের ফিরে পাওয়া কঠিন। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন নিশ্চিত করতে হবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গুম ও খুনের পথ খুঁজে নিয়েছে। এসব গুম-খুন করে ক্ষমতার মসনদ টিকিয়ে রাখা যাবে না। জনগন জেগে উঠেছে, রাস্তায় নেমেছে। ইনশাআল্লাহ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে অচিরেই স্বৈরাচারের পতন হবে।
স্মারকলিপি প্রদানের পর বাদ জোহর হযরত শাহজালাল (র.) এর দরগাহ প্রাঙ্গনে এম ইলিয়াস আলী সহ নিখোঁজ নেতাকর্মীদের সন্ধান কামনায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট নুরুল হক, এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক, একেএম তারেক কালাম, ইকবাল বাহার চৌধুরী, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, তাজরুল ইসলাম তাজুল, মামুনুর রশিদ মামুন, আনোয়ার হোসেন মানিক, এডভোকেট আবু তাহের, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী সুফি, কোহিনুর আহমদ, শাকিল মোর্শেদ, এ্যাড. মুজিবুর রহমান, মুশিকুর রহমান মুহি, এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, এডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরী, এডভোকেট ছমির উদ্দিন, রাহাত চৌধুরী মুন্না, এম. মুজিবুর রহমান, নিজাম জায়গীরদার, এডভোকেট মোস্তাক আহমদ, আজিজুর রহমান, জালাল খান, আব্দুল মালেক, মাহবুব আলম, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তুরন, শাহীন আলম জয়, ডা. নাজিম উদ্দিন, এডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমী, নাজিম উদ্দিন পান্না, শামসুর রহমান সুজা, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, আহমদ সোলায়মান (চেয়ারম্যান), আক্তার হোসেন রাজু, হাসান মঈন উদ্দিন আহমদ, সাদিকুর রহমান টিপু, তোফায়েল আহমদ সুহেল, সৈয়দ এনায়েত হোসেন, জহিরুল ইসলাম তানিম, রুহুল আমিন, নজরুল ইসলাম, জাকারিয়া সিদ্দিকী, হাসান হাফিজুর টিপু, আব্দুল মজিদ, তোফায়েল আহমেদ, আব্দুস সালাম টিপু, আফজল হোসেন, মোঃ ফয়সাল প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি