কাজিরবাজার ডেস্ক :
পাঠ্যপুস্তকে ভুলভ্রান্তি সংশোধনের জন্য ৪০ জন বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করা হয়েছে। আগামী পাঁচদিন পর্যন্ত ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ১০টি পাঠ্যবইয়ের সব বিষয় পুনর্মূল্যায়ন (রিভিউ) করবেন এ বিশেষজ্ঞ দল। এরপর তা একটি সুপারিশ আকারে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) জমা দেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিটিবি চেয়ারম্যান (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, পাঠ্যপুস্তকের যেসব জায়গায় কনফিউশন বা ভুল আছে বা যে কোনো ধরনের ভুল ব্যাখ্যার জন্য আগামী পাঁচদিনব্যাপী রিভিউ সংক্রান্ত কর্মশালা শুরু হয়েছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ের বই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে বিশেষজ্ঞরা যা চিহ্নিত করবেন, আগামী পাঁচদিন পর সেটির ওপর একটি প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এজন্য বিষয়ভিত্তিক স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের যুক্ত করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে এনসিটিবির একজন বিশেষজ্ঞও কাজ করছেন।
তিনি বলেন, প্রথম ধাপে ১০টি বিষয়ের ওপর ৪০ জন বিশেষজ্ঞ কাজ শুরু করেছেন। একটি বিষয়ের ওপর চারজন করে এ কাজ করছেন। এ পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করেই যা যা সংশোধন করা প্রয়োজন, তা চূড়ান্ত করা হবে।
এ পর্যন্ত কী কী ধরনের ভুল চিহ্নিত করা হয়েছে জানতে চাইলে অধ্যাপক মশিউজ্জামান বলেন, এ পর্যন্ত বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে কিছু ভুল দেখানো হয়েছে। যেসব বিষয় এখানে আসেনি সেগুলোও খতিয়ে দেখা হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য বিষয়ের বইয়ে কোনো ধরনের ভুলভ্রান্তি রয়েছে কি না, সেগুলো নিয়ে বিশেষজ্ঞ দল কাজ করবেন। এটি ধাপে ধাপে শুরু করা হবে।
তিনি বলেন, যেসব ভুল নিহ্নিত করা হবে তা সম্পাদনার পর একটি সংশোধনী তৈরি করে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে। শিক্ষকরা সেসব বিষয় পড়ানোর সময় শিক্ষার্থীদের বইয়ে তা সংশোধন করে পড়াবেন ও শিক্ষার্থীদের বইয়ে তা কেটে সংশোধন করতে নির্দেশনা দেওয়া হবে।
গতকাল সোমবার (৩১ জানুয়ারি) এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, নতুন বছরে পাঠ্যপুস্তকে ভুলভ্রান্তি থাকার কারণ জানতে এনসিটিবিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে রিভিউ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পাঠ্যবইয়ে কোনো ধরনের ভুল থাকা সমীচীন নয়। কোনোভাবেই তা মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ের কোন কোন অংশে ভুল তথ্য রয়েছে, সেগুলো চিহ্নিত করে সমাধান করা হবে।