চিরনিদ্রায় শায়িত এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী

6
গোলাপগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ চৌধুরীর জানাযা নামাজের একাংশ।

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
চার দফা জানাযা শেষে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী।
সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বাদ মাগরিব ফুলবাড়ি ইউনিয়নের নিজ গ্রাম রফিপুরে চতুর্থ দফা জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দুই সন্তানের কবরের পাশে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে দুপুর ১২টায় মরহুমের সোবহানীঘাটস্থ মহল্লা মসজিদে প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বাদ যোহর হযরত শাহজালাল (রহ.) এর দরগাহ মসজিদে দ্বিতীয় দফা জানাযা এবং পরে বিকেল ৫টায় গোলাপগঞ্জ সরকারি এমসি একাডেমী স্কুল এন্ড কলেজে তৃতীয় জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা ও উপজেলা নেতাকর্মীরা সহ সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ জানাযায় অংশগ্রহণ করেন এবং অশ্রুসিক্ত নয়নে প্রিয় নেতাকে শেষ বিদায় জানান। জানাযায় অংশ নেয়া ও শ্রদ্ধা জানাতে আসা প্রতিটি মানুষের মুখেই ছিল শোকের ছায়া। এর আগে সোমবার দুপুর ৩টায় উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে ও স্কুল মাঠে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সেখানে একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, মানবকণ্ঠের সম্পাদক দুলাল আহমদ চৌধুরী। এছাড়াও এসময় শ্রদ্ধা জানায় জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ উপজেলা চেয়ারম্যান পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, জেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদ, গোলাপগঞ্জ পোরসভা, উপজেলা বিএনপি, উপজেলা কৃষি অফিস, পৌর আওয়ামী লীগ, ১১ ইউনিয়ন পরিষদ, ১১ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, কৃষকলীগ, গোলাপগঞ্জ খনিজ সম্পদ ও প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা কমিটি। এছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যক্তি, বিভিন্ন স্তরের মানুষ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
উল্লেখ্য গত শনিবার রাত ১২টা ২০ মিনিটের সময় সিলেটের মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এডভেকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী ১৯৪২ সালের ১৭ জুলাই উপজেলার রফিপুর গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। এডভোকেট ইকবাল আহমদ চৌধুরী ২০১৯ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ আগে তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ২০০৪ সাল থেকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। স্কুল ছাত্র থাকা অবস্থায় ভাষা আন্দোলনের মিছিলে অংশ নিয়ে শুরু হয় তার রাজনৈতিক জীবন। এরপর এমসি কলেজ, পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতিতে ছিলেন সক্রিয়। সব জায়গায় তিনি ছিলেন সক্রিয় ও সম্মুখ সারিতে। মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। তিনি আমৃত্যু গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন ।
জানাযার নামাজে উপস্থিত ছিলেন – সাবেক শিক্ষামন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আহমদ আল কবির, সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন ইসলাম কামাল, মানবকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক দুলাল আহমদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামিম মিজানুর রহমান চৌধুরী, বিএনপি নেতা ফয়সল আহমদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও শুভ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক সরওয়ার হোসেন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বদরুল ইসলাম শোয়েব, বিয়ানীবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম পল্লব, কানাইঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মুমিন চৌধুরী, জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ কামাল আহমদ, ফেন্সুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম, ছাতক উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ ফজলুর রহমান, সিলেট জেলার স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক মোঃ মামুনুর রশীদ, গোলাপগঞ্জ উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবির, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আমিনুল ইসলাম রাবেল, গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ টেপন, জেলা জাতীয় পাটির সভাপতি কুনু মিয়া, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক মজির উদ্দিন, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক এডভোকেট আব্বাস উদ্দিন, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি লুৎফর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সৈয়দ মিছবাহ উদ্দিন, শহিদুর রহমান চৌধুরী জাবেদ, বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতাউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান মকছুদ আলম, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এমরান আহমদ চৌধুরী, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুবিন আহমদ জায়গীরদার, রোকন উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী রিংকু, আকবর আলী ফখর, দেলোয়ার হোসেন চুন্নু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনসুর আহমদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুমান উদ্দিন মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল, উপজেলা জাতীয় পাটির আহ্বায়ক মালেক আহমদ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মহিউসুন্নাহ চৌধুরী নার্জিস, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মোঃ আব্দুল জলিল, ঢাকাদক্ষিণ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল আমিন, গোলাপগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র হেলালুজ্জামান হেলাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খুরশীদ আলম চৌধুরী রিপন, সৈয়দ হাছিন আহমদ মিন্টু, খায়রুল হক, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শাহাব উদ্দিন, নাজিমুল হক লস্কর, আবুল লেইছ, আলিম উদ্দিন বাবলু, রুমেল সিরাজ, সহ-দফতর সম্পাদক হোসেন আহমদ, ফুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হানিফ খান, বাঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ, লক্ষণাবন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খলকুর রহমান, গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল হক এনাম, সাধারণ সম্পাদক ইউনুস চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফয়সল আহমদ চৌধুরী, এম এ ওয়াদুদ এমরুল, কামাল উদ্দিন, ফরিদ উদ্দিন ইরান, আজমল হোসেন মনি, অরুন দে, গোলাপগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ, গোলাপগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুহেল আহমদ, ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ রোশন, শরীফগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান লুতি, বাঘা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুহেদুর রহমান সুহেদ, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল আহমদ, বাদেপাশা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মস্তাক আহমদ, সদর ইউপি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ জিলু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের উপ-পানি বিষয়ক সম্পাদক জামিল আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কাউন্সিলর রুহিন আহমদ খান, যুবলীগের আহ্বায়ক ওয়েছুর রহমান ওয়েছ, যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়জুল আলম ফয়সল, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলিম তুষার প্রমুখ। এছাড়াও এলাকার বিশিষ্ট গণ্যমান্য ব্যক্তি, বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। স্কুল মাঠে জানাযার পূর্বে পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন – মরহুমের ছোট ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনজুর সাফি চৌধুরী এলিম ও ভাতিজা ফাহিম ফারুক চৌধুরী।