সিলেট মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ২৫ জানুয়ারি বাকশাল – গণতন্ত্র হত্যার কালো দিবস উপলক্ষে ২৭ জানুয়ারি মহানগর বিএনপির ভাতালিয়াস্থ অস্থায়ী কার্য্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ্ সিদ্দিকী’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকি বলেন, যে আশা ও আকাক্সক্ষা নিয়ে এ অঞ্চলের মানুষ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছিলো, স্বাধীনতার পরপর তৎকালীন শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচার অনাচার গুম খুন লুটপাট আর দেশ চালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থতার কারণে সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলো। তখনকার আওয়ামী শাষকগোষ্ঠি স্বাধীনতার মূল চেতনা বাক ব্যক্তি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রহিত করে ও গণতন্ত্রকে কবর দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যাবস্থা বাকশাল কায়েম করেছিলো। তার পরিণতি রাষ্ট্রকে চরম মূল্য দিয়ে চুকাতে হয়েছিলো। পরবর্তীতে সিপাহী জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান মানুষকে মুক্তির দিশা দিয়েছিলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়ে ও কৃষি ও শিল্প বিপ্লবের মধ্য দিয়ে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে স্ব-নির্ভর বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলেন। আজ স্বাধীনতার ৫০’বছর আবারো আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী জবরদখল করে ক্ষমতায় থেকে ৭৫ পূর্ববর্তী দুঃসহ সেই ভয়াল সময়ে ফিরিয়ে এনেছে। আজ দেশনেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া’কে কারারুদ্ধ করে গণতন্ত্র কে তারা হত্যা করেছে, এমনি অবস্থায় আগামীর রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমান এর নেতৃত্বে এদেশের মানুষ ভয়াবহ নব্য বাকশাল এর কবল থেকে মুক্তি পেতে ঐক্যবদ্ধ। ইনশাআল্লাহ্ রাজপথে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের মধ্য দিয়েই জাতি আবার এই দানবশক্তিকে পরাজিত করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে।
মহানগর বিএনপির সদস্য আফজল উদ্দিন এর কোরআন তেলাওয়াত এর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সভায় বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহবায়ক কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, এমদাদ হোসেন চৌধুরী, সালেহ আহমদ চৌধুরী খসরু, মহানগর আহবায়ক কমিটির সদস্য মুকুল আহমদ মুর্শেদ, মাহবুব চৌধুরী, মহানগর শ্রমিকদলের সভাপতি ইউনুস মিয়া।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জিয়াউল হক জিয়া, আক্তার রশিদ চৌধুরী। বিএনপি নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মির্জা বেলায়েত হোসেন লিটন, লল্লিক আহমদ চৌধুরী, খসরুজ্জামান খসরু, নুরুল মুমিন চৌধুরী খোকন, মুফতি নেহাল উদ্দিন, আব্দুল জব্বার তুতু, মামুনুর রহমান মামুন, আব্দুল হাকিম, সেলিম আহমদ মাহমুদ, ফয়সল মাহমুদ, ছাব্বির আহমদ, মোতাহার আলী মাখন, তাজ উদ্দিন মাসুম, সুফিয়ান আহমদ, রফিকুল ইসলাম, আরিফ আহমদ,মনজুর হোসেন মজনু, দেলোয়ার হোসেন রানা, উজ্জ্বল রঞ্জন চন্দ, তৈমুর হোসেন বিপুল, রাজিব কুমার দে রাজু, খালেদ আকবর চৌধুরী, সাকের আহমদ, আরাফাত চৌধুরী জাকি, মারুফ আহমদ টিপু, আবু সাইদ মোঃ তায়েফ, নসিবুল হক বেলাল, শিপু আহমদ, আব্দুল মান্নান, সালাউদ্দিন আহমদ রিমন, জাবেদুল ইসলাম দিদার, যুবদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে মির্জা সম্রাট, আসাদুল হক আসাদ, মিনহাজ পাঠান, পারভেজ আহমদ, আলী লাহিন, ফিরোজ আহমদ, ছাত্রদল নেতৃবৃন্দের মধ্যে আবুল মোনতাছের চৌধুরী সাব্বিহ্, সদরুল ইসলাম লোকমান, সাফওয়ান আহমদ, মাজহারুল ইসলাম মোর্শেদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কাওসার হোসেন রকি, শ্রমিকদল নেতা লিটন আহমদ, ছাত্রনেতা আকিকুল ইসলাম চৌধুরী জিসান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি