ফসল রক্ষা বাঁধের শুরুতেই অনিয়ম দুর্নীতি, সুনামগঞ্জে ইউএনও প্রত্যাহার

8

অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগে সুনামগঞ্জের শাল্লার আলোচিত সেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মুক্তাদিরকে অবশেষে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
প্রত্যাহারের পর তাঁকে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটে সংযুক্ত করা হয়েছে।
চলতি মৌসুমে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের কাজের শুরুতেই অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল মুক্তাদির হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়।
সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন থেকে বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার শাল্লার ইউএনওকে সুনামগঞ্জ থেকে অবমুক্ত করা হয়েছে। হাওরে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও আশ্রয়ণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, তা জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এ রকম কিছু বিষয় তো আছেই।’
প্রসঙ্গত, গত সোমবার শাল্লার সকল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের লক্ষ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন।
পিআইসির ওইসব কমিটি ইউএনও এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ওই উপজেলার দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মিলে অনৈতিক আর্থীক সুবিধা পেয়ে গোপনে কমিটি গঠন করেছেন অভিযোগ করা হয়।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক সুনামগঞ্জের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালককে প্রধান ও পাউবোর দুজন প্রকৌশলীকে সদস্য করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন। কমিটি দায়িত্বশীলরা বৃহস্পতিবার সরেজমিন শাল্লা পরিদর্শন করেন। এরপরই ইউএনও আল মুক্তাদির হোসেনের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এর আগে শাল্লা আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠে ওই ইউএনওর বিরুদ্ধে । ইউএনও আশ্রয়ণ প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ঘরের নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের কথা বলে নয় ছয় করে প্রায় ৫৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন। গত জুনে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এ টাকা ফেরত দেন ইউএনও।
শুক্রবার সুনামগঞ্জ পাউবো সূত্রে জানা গেছে, জেলার ১১টি উপজেলায় এবার হাওরের বোরো ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য এখন পর্যন্ত ৭০১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এসব প্রকল্পের প্রাক্কলন ধরা হয়েছে ১১৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে শাল্লা উপজেলায় এখন পর্যন্ত ১৩৮টি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ জন্য প্রাক্কলন ব্যায় ধরা হয়েছে ২৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল মুক্তাদির হোসেন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পিআইসি গঠনে কোনো অনিয়মই হয়নি। (খবর সংবাদদাতার)