ওমিক্রন বাড়লেও এখনই লকডাউনে যাবে না পাকিস্তান

7

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দু’সপ্তাহ ধরে ওমিক্রন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্রুত বাড়লেও এখনই লকডাউন দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা নেই পাকিস্তানের। বৃহস্পতিবার (৮ জানুয়ারি) দেশটির ন্যাশনাল কমান্ড অ্যান্ড অপারেশন সেন্টারের (এনসিওসি) প্রধান আসাদ উমর এ কথা জানিয়েছেন।
পাকিস্তান সরকারের পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও বিশেষ উদ্যোগ বিষয়ক এ মন্ত্রী বলেছেন, আপাতত আমরা পাকিস্তানসহ সারা বিশ্বে সংক্রমণ হারের ওপর নজর রাখছি। করোনার বিস্তার ঠেকাতে পাকিস্তান সরকার লকডাউনের বদলে টিকাদান এবং বিদ্যমান বিধিনিষেধ কঠোরভাবে কার্যকরের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আসাদ উমর বলেন, ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও এটি অতটা প্রাণঘাতী নয়। তবে, ওমিক্রন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে আপনার কিছুই হবে না, এমনটি ভাববেন না।
বাড়ছে সংক্রমণ
বিগত সাত দিন পাকিস্তানে যত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, তার প্রায় ৬০ শতাংশই পাওয়া গেছে লাহোর ও করাচিতে। জিন্নাহ সিন্ধ মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটির (জেএসএমইউ) ভারপ্রাপ্ত ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. শহীদ রসুল বলেছেন, পর্যাপ্ত টিকা না দেওয়ার কারণেই করাচিতে ওমিক্রন সংক্রমণ বাড়ছে।
তিনি বলেন, শহরটিতে শনাক্ত নতুন রোগীদের বেশিরভাগই ওমিক্রনে আক্রান্ত। শুধু ওমিক্রনই নয়, করাচিতে ডেল্টা করোনাভাইরাসও পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে টিকাদানের হার মাত্র ৪০ শতাংশ।
এ বিশেষজ্ঞের মতে, লকডাউন সংক্রমণের হারের ওপর নির্ভরশীল। আগামী দিনগুলোতে যদি করোনা সংক্রমণ আরও বেড়ে যায়, তাহলে সরকারকে অবশ্যই বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে।
শনাক্তের হার দুই শতাংশ পার
গত বছরের ১৪ অক্টোবরের পর থেকে প্রথমবারের মতো পাকিস্তানে দৈনিক করোনা শনাক্তের হার দুই শতাংশ ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের তথ্য বলছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ১ হাজার ৮৫ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন, যা প্রায় তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এনসিওসি’র পরিসংখ্যান অনুসারে, বৃহস্পতিবার দেশটিতে করোনা শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৩২ শতাংশ। সেখানে একদিনের ব্যবধানে শনাক্তের হার বেড়েছে অন্তত ০.৫ শতাংশ।