মো. শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারী সহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, প্রার্থীকে ভোট দেয়া ও না দেয়াকে কেন্দ্র করে ২৬ ডিসেম্বর রোববার নির্বাচনের দিন স্থানীয় ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী আহমদ আলী ও আবুল হোসেনের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরই জের ধরে ২৭ ডিসেম্বর সোমবার দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও ঢাল নিয়ে রণসাজে সজ্জিত হয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষ ও ইটপাটকেলের ঘটনায় স্থানীয় প্রধান সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার বিপুল সংখ্যক পুলিশ দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। ততক্ষনে সংঘর্ষে শালিসি ব্যক্তি সহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন আহত হন। আহতদের থানা পুলিশ উদ্ধার করে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেন। জগন্নাথপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর দিক-নির্দেশনায় থানার এসআই দিপংকর সরকার, এসআই শফিকুল ইসলাম ও এসআই জিয়া উদ্দিন সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ দল দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করায় আরো বড় ধরণের সংঘর্ষ থেকে রক্ষা হয়েছে বলে সরজমিনে স্থানীয় আতঙ্কিত জনতা জানান।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন, মাসেদ আলী, সানুর মিয়া, তামিম মিয়া, মুরছালিন মিয়া, ইন্তাজ আলী, শহিদুল ইসলাম, সুজন মিয়া, সেজু মিয়া, রহমত আলী, আবুল কালাম, মজলু মিয়া, আশরাফ আলী, সাইদুল ইসলাম, শফিক মিয়া, মোহাম্মদ আলী, সমরাজ আলী, ইজ্জত আলী, দিলবর আলী, সুহেল মিয়া, বেগম বিবি, পলি বেগম, আলামিন মিয়া, আশিক উল্লাহ, বাবুল মিয়া, ইমন মিয়া, শাহিনুর মিয়া, মতিউর রহমান, সুমন মিয়া, তারিফ উল্লাহ, শফিক আলী, আবদুস সালাম, শিবলু মিয়া, আবদুস সাত্তার, আলী আহমদ, হামিদা বেগম, বুশরা আক্তার, সিরাজুল মিয়া ও হারুন উল্লাহ সহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৫০ জন। এর মধ্যে গুরুতর আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। অন্য আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি সহ প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে বলে জগন্নাথপুর থানার এসআই আবদুস ছত্তার জানান।