সিলেট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক পানির বিল অস্বাভাবিক-অযৌক্তিকভাবে বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও বর্ধিত বিল অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিতে নগরীতে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেছেন- পানির বিল না বাড়িয়ে দুর্নীতি, লুটপাত বন্ধ করতে কাজ করুন। জনগণকে ভোগান্তি দিবেন না। জনগণ যেমন বুকে নিতে জানে, তেমনি ছুঁড়ে দিতেও জানে। নগরবাসীর মতামত উপেক্ষা করে, মানুষের সহ্যসীমার বাইরে যে পানির বিল নির্ধারণ করা হয়েছে তা অত্যন্ত অমানবিক। নগরীর অধিকাংশ কাউন্সিলরকে পাশ কাটিয়ে গিয়ে এই অস্বাভাবিক বিল নির্ধারণ করা হয়েছে বলে আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি। নগরভবনের পরিষদের বৈঠকেও অফিসিয়ালি বিল বাড়ানোর সিদ্ধান্ত পাস হয়নি, তবুও বাসা-বাড়িতে বর্ধিত বিল পাঠানো হয়েছে। অবিলম্বে বর্ধিত বিল প্রত্যাহার করুন, না হলে নগরবাসীকে সাথে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় নগরীর উত্তর কাজীটুলা ইলেকট্রিক সাপ্লাই রোডে এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিক মিসবাহ উদ্দীন আহমদের পরিচালনায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ১৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রাশেদ আহমদ, সাবেক কাউন্সিলর মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুল আনোয়ার আলাউর, উত্তর কাজীটুলা জামে মসজিদের উপদেষ্টা সাংবাদিক আব্দুল মালিক জাকা, মসজিদের উপদেষ্টা আব্দুল কাইয়ূম, মো. শাহিন আহমদ, কোষাধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন, সদস্য মো. শাহজাহান, রুহেল আহমদ, ব্যবসায়ী জুবের আহমদ চৌধুরী, কাজীটুলা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মখলিছুর রহমান বাবলু, বিএনপি নেতা কামরুল হাসান শাহিন, অন্তরঙ্গ সমাজকল্যাণ সংস্থার সভাপতি আবদুল আহাদ এলিস, সহসভাপতি সাদ উদ্দিন জাবেদ, নাদিম আহমদ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আকবর, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল আহমদ, কলবাখানী এলাকার মুরব্বী মো. আলতা মিয়া, আব্দুর রহিম শিপন, মো. আব্দুল হান্নান, সুরমা বয়েজ ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন, ১৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক তারেক আহমদ চৌধুরী, ১৭ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম সৌমিক, ব্যবসায়ী মো. আশরাফুল ইসলাম।
মানববন্ধনে উত্তর কাজীটুলা, কাজীটুলা উঁচাসড়ক, কলবাখানি, রায়হোসেন কলবাখানি, ইলেকট্রিক সাপ্লাই, গোয়াইটুলা চাষনীপীর রোডের প্রায় অর্ধসহস্রাধিক মানুষ অংশ নেন। বিজ্ঞপ্তি