৭টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার অন্যতম কেন্দ্র সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তর জানায়, সিকৃবিতে এবছর ৩৩০০ জন পরীক্ষায় অংশ নেবার সুযোগ পায়। যার মধ্যে শনিবারের ভর্তি পরীক্ষায় ১৯৮০ জন উপস্থিত ছিলো। উপস্থিতির হার ৬০%। ভর্তি পরীক্ষা আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন জানান, দুপুর ১১টা ৩০ থেকে বেলা ১২টা ৩০ পর্যন্ত কোন অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ছাড়াই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্নের জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এদিকে ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভোর থেকেই সিকৃবি ক্যাম্পাসে সাজ সাজ রব পড়ে যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষার্থীরা অভিবাবকসহ সিকৃবি ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়। পরীক্ষা শুরুর পর বিভিন্ন হল পরিদর্শন করেছেন সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ মতিয়ার রহমান হাওলাদার। তাঁর সাথে পরিদর্শনে ছিলেন, সিকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক এবং কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ রাশেদ আল মামুন, ভেটেরিনারি এনিম্যাল ও বায়োমেডিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. এম. রাশেদ হাসনাত, কৃষি অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ আসাদ-উদ-দৌলা, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মৃত্যুঞ্জয় কুন্ড, কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ শাহ আলমগীর, বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ মেহেদী হাসান খান, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. স্নেহাংশু শেখর চন্দ, রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম শোয়েব, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি প্রফেসর ড. মোঃ বদরুজ্জামান ও ড. মোঃ আতাউর রহমান, পরিচালক (ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা) প্রফেসর ড. মোঃ মোস্তফা সামছুজ্জামান, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক মোঃ আনিছুর রহমান, প্রক্টর ড. মোঃ তাওহীদ হাসান প্রমুখ।
এ বছর সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় ৭৬ হাজার ৫৩৯ জন শিক্ষার্থীর আবেদনের পর ৩৪ হাজার ৮৪৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মোট ১২৫০০ জন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬১৮২ জন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬৩৬৪ জন, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০০ জন, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৩০০ জন, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫০০ জন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪০০০ জন।