কাজিরবাজার ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারস ডট ইনফোর হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ কোটি ৮৫ লাখ ৬৯ হাজার ৩০৭ জন। এরমধ্যে ৫১ লাখ ৭৮ হাজার ৪৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। চিকিৎসা গ্রহণের পর সুস্থ হয়ে উঠেছে ২৩ কোটি ৪০ লাখ ৬১ হাজার ৩৪৭ জন। এদিকে সংক্রমণ বাড়তে থাকার কারণে দেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যা সঙ্কট তীব্র হয়ে ওঠায় কিছু রোগীকে সীমান্তবর্তী প্রতিবেশী দেশ জার্মানিতে পাঠানো শুরু করেছে নেদারল্যান্ডস। দেশটির বন্দর নগরী রটারডাম থেকে ইতোমধ্যে এক রোগীকে এ্যাম্বুল্যান্সে জার্মানির বোশুম শহরের এক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রটারডাম থেকে বোশুমের দূরত্ব ২৪০ কিলোমিটার (১৫০ মাইল)।
নেদারল্যান্ডসের স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মে মাস অতিক্রান্ত হওয়ার ৫ মাস পর, গত দু’সপ্তাহে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালগুলোতে। বর্তমানে ভর্তি রোগীর সংখ্যা এত বেশি যে, অধিকাংশ হাসপাতাল আর নতুন রোগী নিতে পারছে না। করোনা রোগীদের অতিরিক্ত চাপ থাকার কারণে অন্যান্য রোগী, বিশেষ করে ক্যান্সার ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্যসেবা কর্তৃপক্ষ। জার্মানিতেও সম্প্রতি ব্যাপকভাবে বাড়ছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু। দেশটির জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বর্তমানে করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের মুখে রয়েছে জার্মানি। তবে এই পরিস্থিতিতেও প্রতিবেশী নেদারল্যান্ডসের পাশে দাঁড়িয়েছে দেশটি। জার্মানির হাসপাতালগুলো জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডসের রোগীদের চিকিৎসা দিতে তারা আন্তরিকভাবে ইচ্ছুক, তবে এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ ২০ বিদেশী রোগীকে শয্যা সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
ইসরাইলে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের টিকা দেয়া শুরু ॥ পাঁচ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া শুরু করেছে ইসরাইল। করোনাভাইরাসের আরেকটি ঢেউ ঠেকানোর লক্ষ্যে সোমবার থেকে দেশটিতে এই টিকাদান কর্মসূচী শুরু হয়েছে। বিশ্বের যে অল্প কয়েকটি দেশ মহামারী মোকাবেলায় শিশুদের টিকা দিচ্ছে, ইসরাইল তাদের অন্যতম। গ্রীষ্মকালের পুরো সময় করোনাভাইরাস সংক্রমণের উর্ধগতি দেখেছে ইসরাইল, যা করোনার অতি-সংক্রামক ধরণ ডেল্টার কারণে বৃদ্ধি পায়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্বের যে কয়েকটি দেশ সবার আগে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু করেছে, ইসরাইল তাদের একটি। সংক্রমণ আবারও বাড়তে শুরু করায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেছেন, দেশে শিশুদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঢেউ দেখা গেছে।