সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে মামলা ও সংবাদ প্রচারের অভিযোগ

3

স্টাফ রিপোর্টার :
একটি মহল বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সংবাদ মাধ্যমে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করে মান-সম্মান নষ্ট করার করছে বলে অভিযোগ করেছেন সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার নয়াই দক্ষিণ ভাগ গ্রামের আবুল কালাম। শনিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গোলাপগঞ্জ উপজেলার রণকেলী গ্রামের মৃত ইজ্জাদ আলীর ছেলে ফজলুল ইসলামকে দিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে একটি পক্ষ সিলেট মেট্রোপলিটন আদালতে মামলা দায়ের করে। ওই চক্র বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে মান হানিকর তথ্য দিয়ে সাংবাদিক মহলকেও বিভ্রান্ত করছে।
তিনি বলেন, ‘২০১০ সালে ব্রিটিশ হোমস লিমিটেড নামে কোম্পানি আইনে কয়েকজন মিলে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলা হয়। আমি এই প্রতিষ্ঠানের একজন সাধারণ পরিচালক। তখনকার সময় এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব আব্দুল কায়ূম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন মাহমুদ হোসেন। ২০১০-২০১১খ্রিঃ দুই বছর দায়িত্ব পালনের পর সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আলীর সভাপতিত্বে বোর্ড মিটিং এর মাধ্যমে আব্দুল কায়ূম ও মাহমুদ হোসেন তাদের নিজ দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। পরিচালকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে ব্রিটিশ হোমস লিমিটেড এ সকল পরিচালকদের নাম যুক্ত করে তখনকার সময় রেজিষ্ট্রেশন করা সম্ভব হয়নি। সে কারণে ওই সভায় সকলের সম্মতিতে ব্রিটিশ হোমস লিমিটেড এর নাম আংশিক পরিবর্তন করে ব্রিটিশ হোমস ইন নাম করণ করা হয়। ব্রিটিশ হোমস ইন নামে কোম্পানি হাউজে ১২ জন পরিচালকের নামে রেজিষ্ট্রেশন করে ব্যবসা চলমান ছিল। কিন্তু এ সময় চেয়ারম্যানের পদ শূন্য হওয়ায় পদাধিকার বলে সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আলী চেয়ারম্যানের পদে দায়িত্ব পালন করেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয় জাকির হোসেন চৌধুরীকে।
তিনি বলেন, কিছুদিন ব্যবসা চলার পর মালিক পক্ষ ভবনটি জবর দখল করে নিয়ে ব্রিটিশ হোমস ইন এর পরিচালকদের উপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী শুরু করে। মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হলে আমরা সকল পরিচালকগণ রেহাই পাই। চুক্তিপত্র মোতাবেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যথাযথ অবস্থানে ফিরে পেতে মালিক পক্ষকে বিবাদী করে ব্রিটিশ হোমস (প্রাইভেট) লিমিটেড এর পক্ষ থেকে ঢাকার যুগ্ম জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয় যা আদালতে মামলা এখনও বিচারাধীন।
কোম্পানির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও পরিচালকরা এসব ‘অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যখন মালিক পক্ষকে বিবাদী করে আদালতে মামলা চলমান ওই সময় কোম্পানির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আলী, পরিচালক নজমুল খান ও রফিক আলী সমন্বয়ে তৃতীয় একটি পক্ষ ফজলুল ইসলামকে দিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। অর্থ বিনিয়োগ করা হলো ব্রিটিশ হোমস (প্রাইভেট) লিমিটেড কোম্পানিতে। অথচ এর কোন উল্লেখ না করে ফ্লাট বাড়ির ব্যবসার নামে অপপ্রচার করে মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মামলার এজাহারের কোন সত্যতা পায়নি সংশ্লিষ্ট দফতর। তধোপরী আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ওই মামলা মোকাবেলা করে আসছি। কিন্তু মামলা দিয়ে হয়রানী পাশাপাশি এখন ব্রিটিশ হোম ইন কোম্পানির ভাইস চেয়ারম্যান পদে থাকা সত্ত্বেও ইব্রাহিম আলী প্রকৃত সত্য আড়াল করে কোম্পানির একজন সাধারণ পরিচালক ও এই কোম্পানির সাথে এখন যার কোন সম্পৃক্ততা নেই তার উপর মামলা করেন।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের সাথে আইনি পরামর্শ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।