সিলেটের সাংস্কৃতিক চর্চার প্রতিবন্ধকতা দূর করে সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে নাট্য ও সংস্কৃতিকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, সিলেটের সাংস্কৃতিক চর্চার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে। এটিকে ধরে রাখার জন্য সাংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় যেকোন প্রতিবন্ধকতা অবশ্যই দূর করতে হবে। তিনি ৫ অক্টোবর মঙ্গলবার সিলেট জেলা পরিষদ, কনফারেন্স হলে সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেট আয়োজিত সিলেটের সংস্কৃতি চর্চা ও উন্নয়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত কথা বলেন।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশুর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্তের পরিচালনায় নাট্য পরিষদের লিখিত কয়েকটি দাবির প্রেক্ষিতে বলেন, কবি নজরুল অডিটোরিয়ামের সংস্কার অতিব জরুরী। একই সাথে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী সারদা স্মৃতি ভবন সংস্কার ও আধুনিকায়ন করে সংস্কৃতি চর্চার জন্য প্রস্তুত করতে সংশ্লিষ্টদের বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার সংস্কৃতিবান্ধব এবং উন্নয়নমুখী সরকার। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংস্কৃতিক অগ্রযাত্রায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি সিলেটের সংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রশংসা করে এই ধারা অব্যাহত রাখতে সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেট’র পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সিলেট কবি নজরুল অডিটোরিয়াম দ্রুত সংস্কার ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, ঐতিহ্যবাহী সারদাহল সংস্কার ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক চর্চার জন্য পুণরায় চালুর উদ্যোগ, সিলেটের শিশু একাডেমি কমপ্লেক্স নির্মাণ, সিলেট স্মৃতিসৌধ নির্মাণ, বৈশ্বিক মহামারির কারণে সাংস্কৃতিক সংগঠনকে সহযোগিতা প্রদানসহ বেশ কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। এছাড়াও সিলেটে টেলিভিশন কেন্দ্র চালু ও বাংলাদেশ বেতার, সিলেট কেন্দ্রে সক্ষমতা বাড়াতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করা হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক এডভোকেট নাসির উদ্দিন খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব ড. দেওয়ান মো. শাহরিয়ার ফিরোজ, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সত্যজিত রায় দাস, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সচিব ফাহিমা ইয়াসমিন, জেলা পরিষদ, সিলেট’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ ও জেলা পরিষদ, সিলেট’র প্রকৌশলী হাসিব আহমদ।
মতবিনিময় সভায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, সিলেট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা, নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদ, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশান, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থাসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সাংস্কৃতিক সংগঠকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী, শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রিয় সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সাধারন সম্পাদক নিলাঞ্জনা যুঁই। এছাড়াও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী রানা কুমার সিন্হা, আবৃত্তিশিল্পী মোকাদ্দেছ বাবুল, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আল-আজাদ, নাট্যজন অরিন্দম দত্ত চন্দন, এনায়েত হাসান মানিক, নিরঞ্জন দে যাদু, শামসুল বাছিত শেরো, বিভাষ শ্যাম যাদন, উত্তম সিংহ রতন, আমিরুল ইসলাম বাবু, খোয়াজ রহিম সবুজ, নিলাঞ্জন দাস টুকু, সিটি কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, কবি ও গবেষক সুমনকুমার দাস, এডভোকেট বিপ্রদাস ভট্টাচার্য্য, প্রতিক এন্দ টনি, অনিমেষ বিজয় চৌধুরী, বাউলশিল্পী সূর্যলাল দাস, বাউলশিল্পী বশির উদ্দিন, নাট্য সংগঠক উজ্জল দাস, দিগেন সিংহ। ইনোভেটর সমন্বয়ক প্রণব কান্তি দেব, এছাড়াও নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠক জগদীপ দাশ তনু, খোকন ফকির, আশরাফুল ইসলাম অনি, ফারজানা সুমি, দিবাকর সরকার শেখর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।