ফের খুলেছে এমসি কলেজের সেই আলোচিত ছাত্রাবাস

6

স্টাফ রিপোর্টার :
গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর এক তরুণী তুলে নিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনায় উঠে আসে সিলেটের ঐতিহ্যবাহী মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাস। করোনা সংক্রমণের কারণে বন্ধ থাকা অবস্থায়ই সেদিন রাতে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।
এর আগে ২০১৭ সালের নভেম্বরে ছাত্রলীগ ও শিবিরের সংঘর্ষের জের ধরে পুড়িয়ে দেওয়া হয় এই ছাত্রাবাস। এনিয়েও দেশজুড়ে তোলপাড় হয়। এমন নানা বিতর্কিত কান্ডে নানা সময়ে আলোচিত হওয়া এমসি কলেজের ছাত্রাবাস দীর্ঘ বন্ধ শেষে আবার খুলেছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল শুক্রবার ১ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে ছাত্রাবাসে প্রবেশ করা শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় করোনা নেগেটিভ ও অন্তত এক ডোজ করোনার টিকা প্রদানের প্রমাণসাপেক্ষে শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাসে প্রবেশ করেন।
এদিকে, ছাত্রাবাস খোলা উপলক্ষে পূর্বে থেকেই সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রাখে কলেজ কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকা ছাত্রাবাস পরিষ্কার করাসহ ছিটানো হয় জীবাণুনাশক। সেই সাথে ছাত্রাবাসে প্রবেশের সময় সকল শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রাসহ স্যানিটাইজ করে প্রবেশ করানো হয়। করোনা মহামারি বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ছাত্রাবাসের সিটপ্ল্যান সাজান কর্তৃপক্ষ। এমনকি নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে বলেও জানান এমসি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সালেহ আহমদ।
বিকেলে ছাত্রাবাসে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের প্রবেশ তদারকি করার সময়য় তিনি সাংবাদিকদের জানান, যাদের করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে তাদের ছাত্রাবাসে উঠতে দেওয়া হচ্ছে। ছাত্রাবাসে ওঠা শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র জীবাণুমুক্ত রাখা, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং ডেঙ্গু সংক্রমণ ও এডিস মশা বিস্তাররোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাইডলাইন অনুসরণসহ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃক আরোপিত ১০টি নির্দেশনা বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কোন শিক্ষার্থী অসুস্থ হলে কলেজ ছাত্রাবাসের অভ্যন্তরের মেডিকেল সেন্টার থেকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে এবং করোনা পরিস্থিতিতে ছাত্রাবাসের ফি কমানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।