বিইআই’র সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক অবহিতকরণ সভায় বিভাগীয় কমিশনার ॥ জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নির্ধারণের জন্য সুশাসন ও শুদ্ধাচার কৌশল খুবই গুরুত্বপূর্ণ

4

সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ খলিলুর রহমান বলেছেন, রাষ্ট্র ব্যবস্থায় জনগণের মালিকানা নিশ্চিতকরণে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নির্ধারণের জন্য শাসন, সুশাসন ও শুদ্ধাচার কৌশল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে আমরা প্রত্যেকেই একেকজন রিসোর্স পার্সন হিসেবে কাজ করতে পারি। মঙ্গলবার সকালে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে এবং দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় সুশাসনে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধির জন্য নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমকর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ শীর্ষক প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, তথ্য অধিকার আইণ স্বচ্ছতা পরিমাপের অন্যতম চাবিকাটি। এটি বর্তমানে সকল ক্ষেত্রে জবাবদিহিতার সৃষ্ঠি করেছে। কারণ এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দফতরকে স্বপ্রণোদিত হয়ে তথ্য দিতে হয়। এ জন্য সরকার প্রত্যেকটি অফিসে একজন করে তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছেন। তথ্য অধিকার প্রাপ্তিতে সিলেট বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ইতিমধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে বলেও জানান তিনি। শুদ্ধাচার মানেই ঘুষ, দুর্নীতি নয়, উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুদ্ধাচার সার্বিকভাবেই প্রতিটি ক্ষেত্রে একটি অপরিহার্য কাজ। এ ক্ষেত্রে মিডিয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সাবেক সচিব ও রাষ্ট্রদূত এবং বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট এর প্রেসিডেন্ট এম হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অবহিতকরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট প্রেসক্লাব সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম, সিলেট মদন মোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ, সিলেট সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহানারা বেগম, নাজনীন আক্তার কণা, এডভোকেট শিরিন আক্তার, সিলেটের প্রবেশন কর্মকর্তা তৈমুর হোসেন চৌধুরী, সিলেট উইমেন্স চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, বেলার সমন্বয়কারী এড. শাহ শাহেদা প্রমুখ। শুরুতে প্রকল্পের পরিচিতি তুলে ধরেন বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট এর ডেপুটি ডিরেক্টর আশীষ বণিক। বিজ্ঞপ্তি