কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এনএটিপি-২ প্রকল্পের পরিচালক মো মতিউর রহমান বলেছেন,বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি ও রিসার্চ উন্নয়নের ফলে দেশ কৃষিতে ব্যাপক সফলতা লাভ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এক ইঞ্চি জমিও পতিত রাখা যাবেনা এই নীতি অনুসরণ করে দেশের ৫৭টি জেলার ২৭০টি উপজেলায় এনএটিপি-২ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। রিসার্চ ও সম্প্রসারণ কর্মীর সমন্বয়ে কৃষিকে এগিয়ে নিতে হবে। তিনি বলেন শুধু টেকনোলজির উন্নয়ন করলেই হয়না। মাঠে তা সম্প্রসারণ করতে হবে। ২০ সেপ্টেম্বর সোমবার সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেট অঞ্চলের চার জেলার ১৮ টি উপজেলার এনএটিপি-২ প্রকল্পের আঞ্চলিক বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক দিলীপ কুমার অধিকারীর সভাপতিত্বে দিন ব্যাপী এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা দেবজিৎ সিংহ। এছাড়া অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মৎস্য অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আবদুল মোতালেব, বিভাগীয় প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ড, অমলেন্দু ঘোষ, সিএসও আরএআরএস বারি ড, জুলফিকার আলী ফিরোজ। ট্রেনিং এন্ড কমিউনিকেশন স্পেশিয়ালিষ্ট এম হারুনূর রশীদ এর স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে রিসার্চ পেপার উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পশু সম্পদ রিসার্চ ইনষ্টিটিউট এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হালিমা খাতুন, এম এন্ড ই স্পেশিয়ালিষ্ট ড. নওশের আলী সরদার, রিসার্চ এক্সটেনশন লিংকেজ স্পেশিয়ালিষ্ট ড. জিপি দাস, বারি প্রিন্সিপাল সায়েন্টেফিক অফিসার ড. মাহমুদুল ইসলাম নজরুল, বিআরআরআই ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রফিকুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আশরাফুল আলম ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবদুর রকিব প্রমুখ।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো মতিউর রহমান বলেন, এলাকা ভিত্তিক উৎপাদন বৃদ্ধি করে আমরা কৃষি ও মৎস্য খাতে মডেল তৈরী করতে চাই। পতিত জমিকে কাজে লাগানোর আহবান জানিয়ে তিনি বলেন সিলেট হাওর সমৃদ্ধ। এখানে মাছের ব্যাপক উৎপাদন বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন দেশে তিনশত প্রজাতির আম থাকার পর ব্রান্ডিং নেই। অথচ পাকিস্তান বিপুল পরিমাণ আম রপ্তানী করে থাকে তারা আমের ব্যান্ডিং করতে সক্ষম হয়েছে। তিনি বলেন নিরাপদ খাদ্য তৈরী করতে পারলে মানুষের মধ্যে বিশ^স্ততা তৈরী হবে। একসময় মানুষ মনে করতো মোটা চাল হলে চলবে- এখন মানুষ মানসম্পন্ন খাদ্য চায়। মার্কেটিংকে কৃষক পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে তাহলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব। এ ক্ষেত্রে কৃষিবিদদের এগিয়ে আসার আহবান জানান।
কর্মশালায় সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন জাতের শস্যের উৎপাদন সমস্যা ও সম্ভবনার চিত্র তুলে ধরা হয়। এছাড়া এই অঞ্চলে দাজিলিং কমলা, সূর্যমুখী, তরমুজ, সরিষা চাষ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়। কর্মশালায় সিলেট অঞ্চলের ১৪০ জন কৃষি ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা অংশ নেন। বিজ্ঞপ্তি