ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকে খাবারে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছ। বুধবার রাতে পৌর শহরের নোয়ারাই এলাকার মৃত আব্দুল হেকিমের পুত্র লালু শাহ’র বাসায় ঘটনাটি ঘটেছে।
জানা যায়, লালু শাহসহ পরিবারের লোকজন প্রতিদিনের মতো একসাথে রাতের খাবার খেয়ে ঘরের মধ্যেই পায়চারী করছিলেন তারা। খাওয়ার পর থেকেই তাদের মধ্যে এক অস্বস্থিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে প্রত্যেকে যার যার কক্ষে গিয়ে বিছানায় শুয়ে পড়েন। এ সময় ঘরের প্রধান দরজা ছাড়া প্রায় সবগুলো দরজা জানালা ও কেসি গেট খোলা ছিল। দরজা-জানালা বন্ধ করার আগেই তারা অচেতন হয়ে পড়ে। এ সুযোগে সংঘবদ্ধ চোরেরা বাসায় রান্না ঘরের জানালার গ্রিল কেটে প্রবেশ করে ষ্টীল আলমিরার লকার ভেঙ্গে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। স্থানীয়দের ধারণা, রান্নাঘরের জানালা দিয়ে সন্ধ্যায় রান্না করা খাবারে চেতনা নাশক দ্রব্য মিশিয়ে দেয় চোরচক্র। রাতে ভাত খাওয়ার পর ঘরের দুই শিশু ছাড়া একে-একে সবাই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ওই দু’শিশু রাতে খাবার খায়নি। সকালে বাসার লোকজন ঘুম থেকে জেগে না উঠলে পাশের বাসার লোকজন এসে দেখেন বাসার সকল দরজা খোলা। রুমে-রুমে অচেতন হয়ে পড়ে রয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। রাতের খাবার খেয়ে অসুস্থ লালু শাহ (৬০), তার স্ত্রী সাজিয়া বেগম, পুত্র শাকিল আহমদ ও সাহেল আহমদকে প্রথমে ছাতক হাসপাতালে এবং পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি দেখে স্থানীয়রা থানা-পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এদিকে নোয়ারাই এলাকার আখলুছ মিয়ার পুত্র কবির মিয়ার বাসার ছাদে থাকা পানির ট্যাংকিতে কে বা কারা কেমিক্যাল মিশ্রণ করে দিয়েছে।
সন্ধ্যা রাতে ছাদের পাশের একটি গাছে উঠে পানির ট্যাংকিতে কেমিক্যাল জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে আবার গাছ থেকে নিচে নেমে পালিয়ে যাওয়ার সময় পরিবারের লোকজনের নজরে পড়ে। সকালে ছাতক থানার এসআই আনোয়ার হোসেন কেমিক্যালের ওই খালি বোতলটি ছাদের উপর থেকে উদ্ধার করেছেন। এ নিয়ে এলাকায় অজানা আতংক বিরাজ করছে।