উচ্চ চাপ বিশিষ্ট গ্যাস পাইপ লাইনের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান তৃতীয় দফায় শেষ হয়েছে। গতকাল ১৫ সেপ্টেম্বর সকালে জৈন্তাপুরের ঘাটেরচটি এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড। পরবর্তিতে সিলেট সদর উপজেলার সীমান্তিক আবাসিক এলাকা, বটেশ্বর, চুয়াবহড়, পীরের বাজার এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। দেবপুর-কুমারগাঁও উচ্চ চাপ বিশিষ্ট ৪০০ কিঃ মিঃ গ্যাস পাইপ লাইনের পাশাপাশি আবাসিক এলাকায় জালালাবাদ গ্যাসের অধিক গ্রহণকৃত কয়েক শতক ভূমি রয়েছে। জালালাবাদ গ্যাসের অধিকগ্রহণকৃত ভূমির ৩০ কি.মি. পাইপ লাইনের উপর অবৈধভাবে সীমানা প্রাচীর, বাড়ী, দোকান কোঠাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ছিল। এইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের লক্ষ্যে গত ১৬ মার্চ, ২৬ আগষ্ট ও ১৫ সেপ্টেম্বর ৩ দফা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ২০ কি.মি. পাইপ লাইনের ভূমি অবৈধ দখলমুক্ত করা হয়। ১৫ সেপ্টেম্বর উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্বদেন সিলেট জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মেজবাহ উদ্দিন এ সময় পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে বসতবাড়ী স্থাপিত উচ্ছেদ সংক্রান্ত ট্রাক্সফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডিজিএম আমিরুল ইসলাম বলেন গ্যাস নিরাপত্তা আইনে রয়েছে উচ্চ চাপ বিশিষ্ট গ্যাস পাইপলাইনের উভয় পাশে ন্যূনতম ১০ ফুট করে মোট ২০ ফুটের মধ্যে কোন ধরণের স্থাপনা নির্মাণ করা বিধি বহির্ভূত। এ উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আগামীতে দক্ষিণ সুরমা ও পাঠানটুলা এলাকায় অভিযান পরিচালিত হবে। আমাদের এ অভিযানের পূর্বে বছরখানেক সময় ধরে কয়েকবার তাদেরকে নোটিশ দেয়া হয় পাশাপাশি মৌখিকভাবে অবগত করা হলেও তারা তা আমলে নেননি।
প্রথম দফায় গত ১৬ মার্চ শাহপরাণ থানাধীন ইসলামপুরে মোহাম্মদপুর নূরপুর আবাসিক এলাকা থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। দ্বিতীয় দফায় ২৬ আগষ্ট বালুচর এলাকা থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এ দুটি অভিযানের পূর্বে অনেকে নিজ উদ্যোগে ১৪৫টি সীমানা প্রাচীর, দুতলা তিনতলা বিশিষ্ট দালান, টিনসেড ঘর, দোকান কোঠাসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভেংগে ফেলেন। আমরা ২টি অভিযানে সীমানা প্রাচীর, দুতলা তিনতলা বিশিষ্ট বাড়ী, টিনসেড ঘর, দোকান কোঠাসহ ১২টি স্থাপনা উচ্ছেদ করি।
উদ্ধার অভিযানে উপস্থিত ছিলেন- জালালাবাদ গ্যাসের অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে বসতবাড়ী স্থাপিত উচ্ছেদ সংক্রান্ত ট্রাক্সফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডিজিএম আমিরুল ইসলাম, ডিজিএম নাজমুল ইসলাম চৌধুরী, ডিজিএম বিপ্লব বিশ^াস, কমিটির সদস্য ব্যবস্থাপক আব্দুল মুকিত, ব্যবস্থাপক চন্দন কুমার কুন্ড, ব্যবস্থাপক মনোয়ার হোসেন, ব্যবস্থাপক আব্দুল হাকিম, ব্যবস্থাপক ফজলুর হক, উপ- ব্যবস্থাপক মোনায়েম সরকার, সহকারী ব্যবস্হাপক সুহেদুর রহমান, রেজাউর রহমান, শহীদুল ইসলাম সহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা। বিজ্ঞপ্তি