মানুষ মানুষের জন্য… হাফিজুলকে বাঁচাতে এগিয়ে আসছেন হৃদয়বানরা

13

বুকভরা আশা-ভালবাসা আর স্বপ্ন নিয়ে ছিলো হাফিজুল ইসলামের ছোট্ট একটি সংসার। স্ত্রী আর দুটি অবুঝ সন্তান নিয়ে সেই ছোট্ট কুঠিরে ছিলো যেন স্বর্গের সুখ। সেই সুখ যেন সইলনা হাফিজুল ইসলামের কপালে। সন্তান স্বজনদের ঝলমলে আলোকময় মুখগুলো যেন মুহুর্তে হয়ে গেলো বিভিষিকাময়। অবিশ্বাস্য-অকল্পনীয় এক ঘাতক ব্যাধী নীরবে নিভৃতে হানা দিয়েছে টগবগে উদ্যমী প্রাণচঞ্চল হাফিজুল ইসলামের দেহের ভেতরে। দুরারোগ্য ব্যাধি লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন নিতান্ত অসহায় পরিবারের কর্মঠ, নিষ্ঠাবান ও নীতিবান যুবক। এ অবস্থায় প্রয়োজন তার যথাযথ চিকিৎসা। চিকিৎসকরা বলেছেন হাফিজুলের চিকিৎসার জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন। যত দ্রুত সম্ভব তার চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন।
কিন্তু চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনে সামর্থ্যহীন হাফিজুলের পরিবার। নগরীর শিবগঞ্জে ভাড়া বাসায় থেকে সংসারের ব্যয়ভার মেটানোই দুস্কর। সেখানে ব্যয়বহুল এই চিকিৎসা করানো তার পক্ষে আকাশ কুসুম কল্পনা ছাড়া আর কি? চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী যত দ্রুত তার চিকিৎসা করানো যায়, ততই মঙ্গল।
তার এই দু:সময়ে প্রথমেই পাশে দাঁড়িয়েছেন শ্যামল সিলেটের সাবেক ও বর্তমান সাংবাদিকরা। চিকিৎসার জন্য বিস্তর অর্থ যোগাতে প্রাণান্তর চেষ্টায় আছেন তারা। হাফিজুলের স্ত্রীর নামে ব্যাংক হিসাব খুলে অর্থ তহবিল গঠনের মাধ্যমে তারাও হৃদয়বানদের এগিয়ে আসার আর্তি জানাচ্ছেন।
এই দুর্দিনে হাফিজুলের চিকিৎসা সহয়তায় বিবেকবানদের অনেকে হাত বাড়িয়ে দিতে শুরু করেছেন। ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য-হাফিজুলের বেলায় আবারো সত্য হোক সবার প্রচেষ্টা। সবার প্রচেষ্টায় বেঁচে থাকুক একটি প্রাণ। স্ত্রী ফিরে পাক তার প্রিয় মানুষটি। অবুঝ সন্তানদের মাথার উপর ছায়া হয়ে থাকুক তাদের বটবৃক্ষ পিতা। দেশে-বিদেশে অবস্থানরত হৃদয়বান ব্যক্তিদের সবাই এগিয়ে আসলে তরুণ হাফিজুলের চিকিৎসা করানো অসম্ভব নয়।
হাফিজুলের চিকিৎসা সহায়তায় ইতোমধ্যে একটি তহবিল গঠন করেছেন তার সহকর্মীরা। হাফিজুলের স্ত্রী শিউলী বেগমের পূবালী ব্যাংক সিলেটের শিবগঞ্জ শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাবও খোলা হয়েছে। যার একাউন্ট নম্বর-৪৯৬৯১০১০০১৪৯৯।
এছাড়া হাফিজুলের বিকাশ নাম্বারেও (০১৭১২৪০৩৫৩৩) সহযোগিতা পাঠানো যাবে। যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এলে জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ের সাহস পাবেন হাফিজুল। ইতোমধ্যে তরুণ সংবাদপত্রকর্মী হাফিজুলের চিকিৎসা সহায়তায় এগিয়ে এসেছেন সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ।
১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তার সহায়তা তহবিলে জমা হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৬৮টাকা।
নগদ অর্থদিয়ে তার চিকিৎসা সহায়তায় যারা পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁরা হলেন-
শ্যামল সিলেট’র সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান ১০০০০টাকা,
বাংলাভিউ টিভির সম্পাদক শাহ দিদার আলম নবেল ১০০০০টাকা,
মানবজমিন ও ইটিভির ব্যুরো প্রধান ওয়েছ খছরু ৫০০০টাকা,
প্রথম আলোর ব্যুরো প্রধান উজ্জল মেহদী ৫০০০টাকা,
সমকালের ব্যুরো প্রধান চয়ন চৌধুরী ৩০০০টাকা,
সময়ের আলোর ব্যুরো প্রধান মনোয়ার জাহান চৌধুরী ২০০০টাকা,
উত্তরপূর্ব পরিবারের পক্ষ থেকে বার্তা ফখরুল ইসলাম ৫০০০টাকা,
বনিক বার্তার নিজস্ব প্রতিবেদক দেবাশীষ দেবু ২০০০টাকা,
একাত্তরের কথার মফস্বল সম্পাদক আনন্দ সরকার ২০০০টাকা,
শ্যামল সিলেট’র প্রধান প্রতিবেদক মো. নাসির উদ্দিন ২০০০টাকা,
সিনিয়র আলোকচিত্র সাংবাদিক আবু বকর ১০০০ টাকা,
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি সলিল বরণ দাস ৫০০টাকা,
দক্ষিণ সুরমার দেওয়ান নিজাম খান ১০০০ টাকা,
নগরীর লামাপাড়ার সৈয়দ মিনহাজ উদ্দিন মুসা ৫০০টাকা,
বালাগঞ্জের মামুনুর রশিদ সোহেল ১০০০ টাকা,
রায়হাদ বকস্ ও মোস্তফা কামাল ফরহাদ ৫০০ টাকা,
সিলেট রেডক্রিসেন্ট সেক্রেটারি আব্দুর রহমান জামিল ৫০০০ টাকা,
হবিগঞ্জ থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৪০০০ টাকা,
নগরীর শিবগঞ্জ খরাদিপাড়ার একরাম হোসেন ৫০০০ টাকা,
বালাগঞ্জের খলিলুর রহমান ১০০০ টাকা,
গ্যাস ফিল্ডের পরিচালক সৈয়দ আখতার হোসেন পিয়ার ১০০০ টাকা,
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নগরীর রায়নগরের বাসিন্দা ২০০০ টাকা,
শ্যামল সিলেট’র সাবেক সাংবাদিক নামজুল আলবাব অপু ও সেলিনা তুলি ৫২২১৮ টাকা,
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাজ্য প্রবাসী নারী ২০০০ টাকা,
শ্যামল সিলেট’র আলোচিত্র সাংবাদিক আজমল আলী ১০০০ টাকা,
নগরীর ভাতালিয়ার সালেহ আহমদ ৫০০ টাকা,
বিয়ানীবাজারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি ১৫০ টাকা। বিজ্ঞপ্তি