এলপিজির দাম বৃদ্ধির সুপারিশ

5

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) ১২ কেজি বোতলে ৬৪ দশমিক ৭৬ টাকা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে। সোমবার এলপিজির মূল্য সমন্বয়ের শুনানিতে কমিটি এই সুপারিশ করে। এখন বাজারে ১২ কেজি এলপিজি বোতলের বিইআরসি নির্ধারিত দাম ১ হাজার ৩৩ টাকা। সেখানে কারিগরি কমিটি তা বাড়িয়ে এক হাজার ৯৭ টাকা ৭৬ পয়সা করার সুপারিশ করেছে। তবে এলপিজি অপারেটরদের প্রস্তাব আমলে নেয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভোক্তাদের পক্ষ নিয়ে কাজ করা কনজিউমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব)। তাদের তরফ থেকে বলা হয়েছে, আইনগত দিক বিবেচনা করলে এলপিজি অপারেটরদের এই আবেদন আমলে নেয়ার যৌক্তিকতা নেই।
শুনানির শুরুতে ১২ কেজি এলপিজির দাম এক হাজার ৩৮০ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করে অপারেটররা। অপারেটরদের পক্ষে মূল প্রস্তাব উত্থাপন করেন ওমেরা এলপিজির শামসুল হক। তিনি মূল প্রস্তাবে বলেন, এলপিজির দাম সঠিকভাবে নির্ধারণ না করাতে তারা লোকসানে পড়েছেন। এতে করে দেশে বিদেশী বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে। এ সময় ইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান শুনানিতে বলেন, সৌদি সিপি অনুযায়ী সেপ্টেম্বর মাসের এলপিজির সরবরাহ ব্যয় ৯১.৪৮ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে ১২ কেজির বোতলের দাম এক হাজার ৯৭ টাকা ৭৬ পয়সা করার সুপারিশ করা হয়েছে। তবে কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি এলপিজি বোতলজাতকরণ এবং মজুদকরণে চার্জ অপরিবর্তিত রাখতে চায়। তবে পরিবেশক এবং খুচরা বিক্রেতার কমিশন বৃদ্ধির পক্ষে মত দিয়েছে কিারিগরি কমিটি। এ সময় অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, আদালতে এ বিষয়ে একটি মামলা চলছে এখন এলপিজির দামের বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হবে। ফলে এই শুনানিতে ভোক্তারা কিছুই পাবে না। তিনি বলেন, কমিশনে ২৯ মে থেকে ৩ জুনের মধ্যে আবেদন করেছে অপারেটররা। কিন্তু কমিশনের আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সঙ্গত কারণে এই আবেদন গ্রহণের কোন যৌক্তিকতা নেই বলে শুনানিতে তিনি জানান।
কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে শুনানিতে কমিশনের সদস্য, অপারেটর প্রতিনিধি, ভোক্তা অধিকার প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিকে এবং সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
১২ জানুয়ারি এলপিজির প্রথম দফা শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওই শুনানির পর এপ্রিল মাসে প্রথমবার এলপিজির দাম নির্ধারণ করে কমিশন। কিন্তু কমিশন ঘোষিত দামে এলপিজি বিক্রি করছে না অপারেটররা। তারা দাবি করছে, এলপিজির দাম বৃদ্ধি যথাযথ হয়নি। শুনানিতে অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, আদালতে এ বিষয়ে একটি মামলা চলছে। এখন এলপিজির দামের বিষয়টি আদালতে নিষ্পত্তি হবে। ফলে এই শুনানিতে ভোক্তারা কিছুই পাবে না। তিনি বলেন, কমিশনে ২৯ মে থেকে ৩ জুনের মধ্যে আবেদন করেছে অপারেটররা। কিন্তু কমিশনের আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সঙ্গত কারণে এই আবেদন গ্রহণের যৌক্তিকতা নেই বলে শুনানিতে তিনি জানান।
এ সময় কমিশন চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল শুনানিতে বলেন, আমরা দিনভর অপারেটর, ভোক্তা প্রতিনিধিদের কথা শুনেছি। এখন কমিশন এসব বিষয় বিশ্লেষণ করে একটি সিদ্ধান্ত জানাবে।