স্টাফ রিপোর্টার :
বিয়ানীবাজার জলঢুপ এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী ও সমাজসেবক আজমল হোসেন (৬০) হত্যা মামলায় ২ জনকে মৃত্যুদন্ডের (ফাঁসি) আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া এ রায় ঘোষনা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের এডিশনাল পিপি এডভোকেট জসিম উদ্দিম আহমদ।
মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে, মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা থানার কুতুবনগর গ্রামের আব্দুল খালিকের পুত্র বর্তমানে বিয়ানীবাজার থানার জলঢুপ উত্তর পারিয়াবহরের হেকিম আলীর বাড়ীর বাসিন্দা রুহেল আহমদ উরফে কালা (২৫) ও মৌলভীবাজার বড়লেখা থানার গুলসা গ্রামের বিজয় কান্ত দাসের পুত্র বর্তমানে বিয়ানীবাজার থানার বড়গ্রাম জলঢুপ অপু দাস উরফে (ধর্মান্তরিত নাম) জাকারিয়া আহমদ (৩০)। রায় ঘোষনার সময় দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলো।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৬ সালে ৩ ফেব্রুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে আসামীরা বেআইনীভাবে বিয়ানীবাজার থানার জলঢুপ গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বী ও সমাজসেবক আজমল হোসেনকে (৬০) টাকা-পয়সা ও ডাকাতি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে খুন করা উদ্দেশ্যে সমবেত হয়। এ সময় আজমল হোসেনকে আসামীরা দা দিয়ে কুপিয়ে ও রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে তার সাথে থাকা ৫০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজমল হোসেন মারা যান। এ ঘটনায় আজমল হোসেনের জামাতা মো: রশিদুল হাসান বিয়ানীবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং-৬ (০৮-০২-২০১৬)।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৭ সালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামীদের অভিযুক্ত করে আদারতে একটি চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন এবং ওই বছরেই চার্জগঠন করে আদালত এ মামলার বিচারকায্য শুরু করেন। দীর্ঘ শনানী ও ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামী রুহেল আহমদ উরফে কালা ও অপু দাস উরফে জাকারিয়া আহমদকে দন্ডবিধির ৩০২ ধারায় তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদন্ড (ফাঁসি) এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড এবং ৩৯৭ ধারায় তাদেরকে আরো ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৩ মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে এডিশনাল পিপি এডভোকেট জসিম উদ্দিম আহমদ, বাদীপক্ষের এডভোকেট রাসেল খাঁন ও এডভোকেট নুরুল আমীন এবং আসামীপক্ষে এডভোকেট আলী হায়দার মামলাটি পরিচালনা করেন।