কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রায় দেড় বছর পর আজ রবিবার খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আবারও সচল হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। স্কুলে উৎসবের সাজ। চকলেট-ফুল দিয়ে শিক্ষার্থীদের বরণ করতে প্রস্তুত বেশ কয়েকটি স্কুল। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণার পরই শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে। বিশেষ করে চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের শিক্ষার্থীদের মাঝেও এসেছে বাঁধভাঙ্গা আনন্দ। এছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। দীর্ঘদিন পরে ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে। এদিকে দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজধানীর স্কুল-কলেজগুলো। বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের বরণ করতে নানা আয়োজন শুরু করেছেন। এ খবরে শিক্ষা সরঞ্জাম কেনার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক পোশাক (স্কুল ড্রেস) বানাতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। বিশেষ করে খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলোর ড্রেস বানিয়ে থাকে, এমন দর্জি দোকান বা টেইলার্সে দেখা যাচ্ছে বেশি ব্যস্ততা। জুতার দোকানেও উপচে পড়া ভিড়।
সরকারের তরফ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেয়ার পর নানা আয়োজনে শিক্ষার্থীদের বরণের প্রস্তুতি নিয়েছে রাজধানীর উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি ক্লাসরুম সাজানো হয়েছে বেলুন ও রঙিন কাগজ দিয়ে। নিজেদের চেনা ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অভ্যর্থনা জানানো হবে চকোলেট ও ফুল দিয়ে। এর পাশাপাশি রাখা হয়েছে আইসোলেশন রুম সুবিধাসহ স্বাস্থ্য সংক্রান্ত নানা পদক্ষেপ। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, গেটেই রাখা আছে শরীরের তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র। তার পাশে হাত ধোয়ার জন্য স্থাপন করা হয়েছে বেসিন। এক পাশে কোভিড-১৯ বিস্তার রোধে করণীয় নির্দেশনামূলক ফেস্টুন। স্কুলে ঢুকেই দেখা যায় সুন্দর এক দেয়াল লিখন। শ্রেণীকক্ষে গিয়ে দেখা যায়, কর্মচারীরা ধোয়া-মোছার কাজ করছেন। কেউ ঝাড়ু দিচ্ছেন, কেউ বেঞ্চ পরিষ্কার করছেন। আবার কেউ বেলুন ও রঙিন কাগজ দিয়ে ক্লাসরুম সাজাচ্ছেন। শিক্ষকরা একে অন্যের সঙ্গে কথা বলে নানা প্রস্তুতিমূলক কাজ করছেন।
উদয়ন স্কুলের কর্মচারী শ্যামল চন্দ্র ভৌমিক বলেন, পরিচ্ছন্নতার সব কাজ শেষ। আমরা শিক্ষার্থীদের বরণ করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। অনেকদিন পর স্কুল খোলা হচ্ছে, ভাল লাগছে। শিক্ষার্থীরা আসবে এতেই ভাল লাগছে।
বিদ্যালয়ের প্রাথমিক শাখার সমন্বয়কারী ও সহকারী শিক্ষক সবিতা সাহা বলেন, দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে পাব। ভাল লাগা কাজ করছে। আমাদের অস্তিত্ব শিক্ষার্থীদের নিয়ে। ওদের এই সুন্দর কচি মুখগুলো দেখব। প্রাণবন্ত চেহারাগুলো দেখব। ওদের সঙ্গে আমাদের ভাব বিনিময় হবে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহের কথা জানিয়ে সবিতা সাহা বলেন, শিক্ষার্থীরা খুব উৎসাহিত। আমরা তাদের বরণের জন্য যেমন প্রস্তুতি নিচ্ছি, তারাও আমাদের দেখার জন্য মুখিয়ে আছে। কখন আসবে, কখন দেখা হবে। নিজেদের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে স্কুলটির প্রাথমিক শাখার এই সমন্বয়কারী বলেন, আমরা আমাদের দিক থেকে শতভাগ প্রস্তুত। বহু আগে থেকেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখছি ক্যাম্পাস, যাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের কোন অসুবিধা না হয়। সব কাজ করেছি।
বিদ্যালয়ের সার্বিক প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ জহুরা বেগম বলেন, ২০২০ সাল থেকেই পরিচ্ছন্নতা শুরু করেছি। করোনাকালে গেটের পাশে বেসিন বসিয়েছি হাত ধোয়ার জন্য। গ্লাস, পানির ফিল্টার, পানির ট্যাঙ্ক পরিষ্কার করা, সাবান, স্যানিটাইজার, মাস্ক, ফুল, চকলেটসহ সবকিছুর ব্যবস্থা করেছি। সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি।
নিজেদের সুরক্ষার বিষয়ে অধ্যক্ষ জহুরা বেগম বলেন, এখানে কর্মরতদের মধ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্ত, ডায়াবেটিস আক্রান্ত, বয়স্ক ও অন্তঃসত্ত্বা মায়েরা বাদে সবাই টিকা নিয়েছেন। ১০১ জন শিক্ষকের মধ্যে অধিকাংশই টিকা নিয়েছেন। যারা টিকা নিতে পারেননি তাদের সবাই রেজিস্ট্রেশন করেছেন। দ্রুতই টিকা পাবেন বলে আশা করছি।
দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বছরের শুরুতে এসএসসি ও এইচএসসি এবং সমমানের পরীক্ষা আয়োজনের কথা থাকলেও এখনও তা সম্ভব হয়নি। এছাড়া অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষার আয়োজন করলেও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এসব বিষয় বিবেচনা করে আজ রবিবার থেকে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি।
গত ৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ের মন্ত্রী পরিষদ সম্মেলন কক্ষে ডাঃ দীপু মনির সভাপতিত্বে আয়োজিত এক বৈঠকে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা শেষে জানানো হয়, চলতি ও আগামীবছরের এসএসসি ও এইচএসসি এবং পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে হবে। আর প্রথম শ্রেণী থেকে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের সপ্তাহে একদিন প্রতিষ্ঠানে আসার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস ইতোমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে। তারা প্রতিদিন ক্লাস করলে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়া হয়ে যাবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে জেএসসি, জেডিসি, পিইসি পরীক্ষাসহ বার্ষিক পরীক্ষাও সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নির্দেশনার ক্ষেত্রে তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যের দিকে লক্ষ্য রাখতে শ্রেণীকক্ষে শিক্ষক এবং প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা প্রতিদিন তাদের পর্যবেক্ষণ করবেন। এজন্য একটি সার্ভিলেন্স টিম কাজ করবে।
কোন প্রতিষ্ঠানে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থাকলে স্থানীয় পর্যায়ে এর অবস্থান বিবেচনায় তা বন্ধ করার ঘোষণাও থাকবে বলে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার শুরুতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মনিটরিং করা হবে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সামাজিক দূরত্ব মেনে সারিবদ্ধভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশের নির্দেশনা রয়েছে। আপাতত কোন এ্যাসেম্বলি হবে না। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের খেলাধুলা বা শারীরিক কর্মকান্ড চলবে।
প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দৈনিক চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা ক্লাস নেয়া হবে। পর্যায়ক্রমে এর সময়সীমা বাড়তে পারে। এছাড়া, প্রতিদিন প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে চেকলিস্ট পূরণ করতে হবে এবং তা অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই) থেকে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে পাঠদান কর্মসূচী কঠোরভাবে মনিটরিংসহ নানা সচেতনতামূলক নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর খোলায় সারাদেশেই সরকারী ও বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে চলে জোর প্রস্তুতি। শিক্ষক-কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন ও সমন্বয় সভা করে শিক্ষার্থীদের জন্য নানা কর্মসূচী নেয়া হচ্ছে। এসব কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে, প্রতিষ্ঠানের প্রধান গেটে স্যানিটাইজ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সারিবদ্ধভাবে প্রবেশ, মাস্ক পরা নিশ্চিতকরণ, থার্মোমিটারে শরীরের তাপমাত্রা মাপাসহ বিভিন্ন নির্দেশনার পাশাপাশি ‘জেড’ শেপে শ্রেণীকক্ষে আসন বিন্যাস ইত্যাদি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের দিনভিত্তিক শ্রেণীবিন্যাস করা হলেও থাকছে না আগের প্রাত্যহিক রুটিন। প্রতিদিন দুটো ক্লাস শেষে একটি শরীরচর্চা বা বিনোদন ক্লাস নেয়ার কথা রয়েছে। পর্যায়ক্রমে শ্রেণীতে পাঠদানের সময়সীমা বাড়ানো হবে। স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণায় মোট ১৯ দফা নির্দেশনা দিয়েছে মাউশি। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় জনস্বার্থে চারটি প্রামাণ্য চিত্র প্রকাশ করা হয়েছে। শ্রেণী কার্যক্রম চালুর বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী, পরিচালনা পর্ষদ-অভিভাবকদের জন্যও বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় নানা ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজধানীর স্কুল-কলেজগুলো। বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাদের শিক্ষার্থীদের বরণ করতে নানা আয়োজন শুরু করেছেন। নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রীদের বরণ করে এদিন পাঠদান শুরু করবেন ভিকারুননিসা নূন স্কুলের শিক্ষকরা। প্রতিষ্ঠানটির একাধিক শিক্ষক জানান, ক্লাসের প্রথমদিন আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের বরণ করে নেবেন তারা। বেইলি রোড, আজিমপুর, ধানমন্ডি ও বসুন্ধরায় ভিকারুননিসার চারটি শাখার প্রবেশ পথের সব ফটক বেলুন ও কাগজ দিয়ে সাজানো হবে। তিন ফুট দূরত্ব রেখে শিক্ষকরা গেটের সামনে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াবেন। ছাত্রীরা যখন প্রবেশ করবে, শিক্ষকরা করতালি ও ড্রাম বাজিয়ে সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তাদের ভেতরে প্রবেশ করানো হবে।
দীর্ঘ সময় পরে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যেতে নির্দিষ্ট পোশাক নিয়ে স্কুলগুলোতে তেমন কড়াকড়ি থাকবে না। রাজধানীর নেভি স্কুল এ্যান্ড কলেজ, স্যার জন উইলসন স্কুল, সেন্ট যোসেফ হাইস্কুল এ্যান্ড কলেজসহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠান সাধারণ শোভন পোশাকে শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারবে বলে নোটিস দিয়েছে।
স্কুল-কলেজ খোলার খবরে পোশাক বানানোর হিড়িক : করোনা (কোভিড-১৯) মহামারীর ধাক্কা কিছুটা সামলে প্রায় দেড় বছর পর খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ খবরে শিক্ষা সরঞ্জাম কেনার পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক পোশাক (স্কুল ড্রেস) বানাতে ব্যস্ত সময় যাচ্ছে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের। বিশেষ করে খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলোর ড্রেস বানিয়ে থাকে, এমন দর্জি দোকান বা টেইলার্সে দেখা যাচ্ছে বেশি ব্যস্ততা। জুতার দোকানেও উপচে পড়া ভিড়।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে ঢাকাসহ দেশের মার্কেট ও দোকানগুলোতে এ চিত্র দেখা যাচ্ছে। রাজধানীর নয়াপল্টনের সিটিহার্ট মার্কেটের নিচতলায় ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে স্কুল ব্যাগ কিনতে এসেছেন এক বাবা। তিনি বলেন, আগে ড্রেস বানানো ছিল, সেগুলো দিয়েই চালিয়ে দেব। তবে ব্যাগটা নতুন লাগবে। এছাড়া খাতা-কলম কিনতে হবে।
মতিঝিলের নটরডেম কলেজের পাশেই একটি দর্জির দোকানে জামার মাপ দিচ্ছিল ওই কলেজের শিক্ষার্থী অনিক। সে জানায়, কলেজ বন্ধ থাকায় এতদিন গ্রামে ছিল। লেখাপড়ার কোন চাপ ছিল না। দীর্ঘদিন ঘরে বসে থাকার কারণে স্বাস্থ্যের কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। পুরাতন জামা ছোট হয় বলে নতুন জামার অর্ডার দিচ্ছে। জামা ছোট হয় বলে অনিকের মতোই আরও বেশ কয়েকজন নতুন জামার অর্ডার দিয়েছে বলে জানান ওই টেইলার্সের মালিক শফিউল। তিনি বলেন, বেশকিছু জামার অর্ডার পেয়েছি। নটরডেম, আরামবাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়, আরামবাগ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের বেশকিছু শিক্ষার্থীর নতুন স্কুল ড্রেসের অর্ডার আমার কাছে এসেছে।
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের পাশেই আছে রেডিমেড স্কুল ড্রেসের দোকান। মতিঝিল আইডিয়াল, মতিঝিল কলোনি উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল বালক উচ্চ বিদ্যালয়, রাজারবাগ ও কমলাপুরের বেশ কয়েকটি স্কুলের ড্রেস রেডিমেড বিক্রি হয় এ দোকানে।
স্কুল ড্রেস বিক্রেতা সায়েম বলেন, আমরা শুধু স্কুল ড্রেসই বিক্রি করি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে শুনে আমরাও দোকান খুলেছি। বেশকিছু পোশাক বিক্রি করেছি। করোনার কারণে গতবছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এর মাঝে বেশ কয়েকবার খোলার কথা উঠলেও পরিস্থিতির কারণে বারবার পিছিয়ে দেয়া হয় তারিখ। সবশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। আর এবারের ঘোষণার পর সার্বিকভাবে প্রস্তুতি নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষার্থীরা।