স্টাফ রিপোর্টার :
সারাদেশের মতো সিলেট নগরীতেও শুরু হয়েছে গণটিকার দ্বিতীয় ডোজের কর্মসূচী। তবে প্রথম ডোজের মতোই দ্বিতীয় ডোজের টিকাগ্রহণে নগরীর বেশকিছু কেন্দ্রে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার সিটি করপোরেশন এলাকার ৮১টি কেন্দ্রে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২২ হাজার ৮৩৭ জন। এর মাঝে পুরুষ ১২ হাজার ৬২৩ এবং মহিলা ১০ হাজার ২১৪ জন। তবে পুরো বিভাগে কতজন দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন সে হিসেবের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে গত ৭ আগষ্ট সিলেট সিটি করপোরেশন ও উপজেলা পর্যায়ে মোট ৮১ হাজার ৩৯৭ জন প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে টিকা নিয়েছেন ৫৮ হাজার ৬৪৪ ও সিটি করপোরেশন এলাকায় গণটিকা নিয়েছেন ২২ হাজার ৭৫৩ জন।
সকাল ১০ টার দিকে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড, ১৯ নম্বর ওয়ার্ড ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি কেন্দ্রে দেখা গেছে, তপ্ত রোদের মাঝেও কেন্দ্রে কেন্দ্রে টিকাগ্রহীতাদের ভিড়। তবে বেলা ১টার আগেই কেন্দ্রগুলো ফাঁকা হয়ে যায়। সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে টিকাকার্ড এবং জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে হাজির হন টিকাগ্রহীতারা।
রায়নগরস্থ ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অফিস টিকাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, পুরুষ ও নারীরা আলাদা লাইনে দাঁড়িয়েছেন। লাইনে তরুণদের সংখ্যা তুলনামুলক বেশি। টিকা নেওয়ার আগে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিরা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে টিকার কার্ড এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি প্রদর্শন করছেন। পরে সেগুলোতে স্বেচ্ছাসেবীরা নম্বর দিয়ে আবার তাঁদের হাতে তুলে দিচ্ছেন।
টিকাকেন্দ্রের স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্বে থাকা একজন জানান, ৭ আগস্ট যাঁরা প্রথম ডোজের টিকা নিয়েছিলেন, তাঁদেরই দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া আরও দুদিন টিকাদান কার্যক্রম চলবে।
শহাজালাল জামেয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রেও গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। ওই কেন্দ্রে বেলা ১টার দিকে গিয়ে দেখা গেছে, টিকাগ্রহীতাদের তেমন ভিড় নেই।
গত ৭ আগস্ট গণটিকা কার্যক্রমে প্রতিটি কেন্দ্রে ৩০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছিল। সে অনুযায়ী মঙ্গলবারও সমানসংখ্যক টিকাগ্রহীতার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রে টিকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় ৮১টি কেন্দ্রে করোনার দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হচ্ছে। যাঁরা ৭ আগস্ট প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন তাদের গতকাল দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে। যার ৮ ও ৯ আগষ্ট নিয়েছেন তাদের আজ বুধবার ও কাল বৃহস্পতিবার দেওয়া হবে। এরপরও যদি কোনো কারণে কেউ নির্দিষ্ট তারিখে টিকা নিতে না পারেন, তাহলে পরবর্তী তারিখে কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যেও যদি কেউ টিকা নিতে না পারেন, পরে তাঁদের সিটি করপোরেশনে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেওয়া হবে। টিকাকার্ড হারিয়ে গেলেও আমরা যাচাই-বাছাই করে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। টিকাগ্রহীতাদের কোন সমস্যা হবেনা।
এর আগে ৭ আগষ্ট সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলায় ১০০টি কেন্দ্রে তিনটি করে ৩০০টি বুথ এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৮১টি কেন্দ্রে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছিল। উপজেলা পর্যায়ে এক দিন গণটিকার কার্যক্রম চললেও সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় দুদিন বৃদ্ধি করা হয়েছিল।