সামসুজ্জামানকে বিএনপির রাজনীতিতে ফেরানোর দাবিতে কোম্পানীগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন

6

কোম্পানীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট সামসুজ্জামান জামানকে পুনরায় বিএনপির রাজনীতিতে ফেরানোর দাবিতে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মী’র ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব ও ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন আরিফ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কয়েকদিন আগে ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করে সিলেটের স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি করা হয়েছে। তাতে সিলেটের রাজপথ কাঁপানো বিএনপির ত্যাগী নেতা এডভোকেট সামসুজ্জামান জামানের মতামতকে উপেক্ষা করা হয়েছে। যোগ্য ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের কমিটিতে না রাখায় ক্ষুব্ধ হয়ে দল ত্যাগ করেছেন তিনি। তার হাত ধরেই সিলেটে স্বেচ্ছাসেবক দল শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তারও আগে ছাত্রদল এবং যুবদলকেও একইভাবে সিলেটে শক্তিশালী করতে কাজ করেন জামান। এডভোকেট জামান এমন একজন নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক সংগঠক, যিনি আন্দোলন-সংগ্রামকেই জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
বর্তমান সরকারের শাসনামলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে অসংখ্য মামলার আসামি হয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতারা বলেন, প্রায় ১০ বছর পর এডভোকেট জামান সম্প্রতি সব মামলা থেকে জামিন পেয়ে মুক্ত হয়েছেন। মুক্ত বাতাসে তিনি যখন আবারও দলীয় কার্যক্রম সক্রিয় করার কাজ শুরু করতে যাচ্ছিলেন। এমন সময় সিলেটের স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। মূল দল বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক হলেও তাকে না জানিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়। দলের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে যারা সংসার ত্যাগী হয়েছেন, মামলায় আক্রান্ত হয়েছেন। ওই কমিটিতে তাদের ঠাঁই হয়নি। অনেকেই লবিং করে পদবি ভাগিয়ে নিয়েছেন। এর আগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং যুবদলের কমিটিতেও ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করা হয়েছে বলে বক্তব্যে বলা হয়।
তৃণমূল নেতাকর্মীর ব্যানারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, দেশ মাতৃকার টানে এবং জাতীয়তাবাদী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে ছাত্র রাজনীতি থেকে শুরু করে দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে রাজনীতি করছেন এডভোকেট জামান। দলের দুর্দিনে সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দেশ ও দলের প্রয়োজনে জীবন বাজি রেখেছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দলকে সিলেটে সুসংগঠিত ও সুসংহত করেছেন। নীতি ও আদর্শের সঙ্গে তিনি কখনোই আপস করেননি। অথচ কমিটি গঠনসহ সিলেটের রাজনীতিতে তাকে অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এজন্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির তৃণমূল নেতাকর্মীরা চরমভাবে ব্যথিত এবং মর্মাহত হয়েছেন।
দলের হাইকমান্ডকে উদ্দেশ্য করে বক্তারা বলেন, আমরা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, সামছুজ্জামান জামানের বিষয়টি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমাধান করে রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় দেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা জাসাসের সভাপতি শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল মিয়া, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও উপজেলা বিএনপির সদস্য গিয়াস উদ্দিন বতুল্লাহ, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক বেদন আহমদ বাঁধন, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নিজাম উদ্দিন, ইসলামপুর পশ্চিম ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ইলিয়াস মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়া, এম. সাইফুর রহমান ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি সোহাগ আলী খান প্রমুখ।