করোনা রোগীদের সহায়তায় দলীয় উদ্যোগে পাশে নেই মেয়র আরিফ – আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী

7

করোনা মহামারীতে জনগণের পাশে দাঁড়াতে সিলেট মহানগর ও জেলা বিএনপি পাশে পায়নি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে। এমন বিবৃতি দিয়েছেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী।
রবিবার (৮ আগষ্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মেয়র আরিফ জনপ্রতিনিধি, নগরীর অভিভাবক। এতদসত্ত্বেও তিনি বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতা এবং বিএনপি নেতাকর্মীর প্রত্যক্ষ ভোটে ও সহযোগিতায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি তার স্বভাব সুলভ স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ থেকে তৃণমূল নেতাকর্মী, যাদের ত্যাগে-শ্রমে আজ তিনি নগরীর অভিভাবক, তাদের সাথে অদৃশ্য দেয়াল গড়ে তুলেন।
দুঃখের সাথে আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী আরো বলেন, উন্নয়নের স্বার্থে আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের সাথে সমন্বয় রেখে তিনি কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু দলের স্বার্থে যেকোনো উদ্যোগ ও সমন্বয়ে তার বিপরীত ভূমিকা দেখা যায়। করোনা মহামারিতে সিলেটে অক্সিজেন সংকট ও মৃত্যু তীব্র আকার ধারণ করায় বিএনপি রোগীদের সেবায় নগরীর ভাতালিয়াস্থ বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে করোনা সহায়তা কেন্দ্র চালু করেছে। যেখানে টেলিমেডিসিন সেবা, অক্সিজেন সেবা, এ্যাম্বুলেন্স সেবা, করোনা টিকা রেজিস্ট্রেশন সেবা, দাফন-কাফন ও সৎকার সেবা, স্বেচ্ছাসেবী সেবা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
শহীদ জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ও এম.এ.হক স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রের সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবীরা মানুষের দোরগোড়ায় যথাসম্ভব সেবা পৌঁছে দিচ্ছে। সাধ্যের মধ্যে খাদ্য সহযোগিতাও করে যাচ্ছে। উদ্যোগকে সফল ও স্বার্থক করতে মহানগর বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সর্বাত্মক সহযোগিতা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরাও কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা, জনমানুষের নেতা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও দিকনির্দেশনায় আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।
কিন্তু এমন মহতী উদ্যোগে মেয়র আমাদের পাশে নেই। তদুপরি দলীয় নেতাকর্মীরাও চরম দুঃসময় পার করছে। নগরীর অভিভাবক ও বিএনপির অন্যতম শীর্ষ নেতা হিসেবে মেয়রের যথেষ্ট দায়বদ্ধতা রয়েছে। কিন্তু তিনি নির্বিকার। নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত তিনি। নিজের চেয়ারকে পাকাপোক্ত করতে দৃষ্টি শুধু নিজের দিকে।
তাই, তিনি ক্ষোভ ও দুঃখের সাথে বলেন, দলের দুঃসময়ে ও যেকোনো উদ্যোগে যখন তাকে পাওয়া যায় না, আমরাও অনেক সময় শপথ করে বলি, নির্বাচনের সময় আমরা তার পাশে দাঁড়াবো না। তদুপরি দল ও জনগণের স্বার্থে আমরা নির্বাচনে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে আরিফুল হক চৌধুরীর পাশে দাঁড়াই। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর দলীয় নেতাকর্মী ভিন্ন আরিফুল হক চৌধুরীকে দেখতে পায়। যেখানে দলীর স্বার্থ গৌণ। বিজ্ঞপ্তি