স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে নগরীর গণটিকা কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচেপড়া ভিড়

5
নগরীর একটি টিকা দান কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষের দীর্ঘ লাইন।

স্টাফ রিপোর্টার :
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নগরীতে চলছে গণটিকাদান কার্যক্রম। গতকাল রবিবার সকাল থেকে শুরু হয় গণটিকাদান। টিকা নিতে কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে উপচেপড়া ভিড় করছেন আগ্রহীরা। ফলে করোনার গণহারে সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কায় আছেন সংশ্লিষ্টরা।
গত শনিবার সিলেটসহ সারাদেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। টানা ছয়দিন এই কার্যক্রম চলার কথা থাকলেও টিকা সংকটের কারণে আপাতত একদিন এই কার্যক্রম চালানো হয়েছে। তবে সিটি করপোরেশন এলাকায় গতকাল রবিবার ও আজ সোমবারও এই কার্যক্রম চালানো হবে। এরই প্রেক্ষিতে গতকালও সকাল থেকে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) ২৭টি ওয়ার্ডে গণটিকাদান কর্মসূচী চলে।
সিসিক সূত্র জানিয়েছে, ২৭টি ওয়ার্ডে প্রতিটিতে ৩টি করে টিকাকেন্দ্র আছে। সবমিলিয়ে ৮১টি কেন্দ্রে চলছে গণটিকাদান।
বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, টিকা নিতে আগ্রহী মানুষের ব্যাপক জটলা। কেউই সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করে অবস্থান করছেন না। গায়ের সাথে গা ঘেষে তারা দাঁড়াচ্ছেন। অনেকের মুখেই নেই মাস্কও। টিকাকেন্দ্রে আসা মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে কেন্দ্রগুলোতে স্বেচ্ছাসেবকদেরও তেমন তৎপরতা নেই।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টিকা দেয়া হচ্ছে সংক্রমণ কমাতে। কিন্তু টিকা নিতে এসে যে পরিস্থিতির তৈরি হচ্ছে, তাতে সংক্রমণ কমার বদলে বেড়ে যাবে। সিটি করপোরেশন স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
জানা গেছে, নগরীতে প্রথম দিনে ২২ হাজার ৭৫৩ জন এসব কেন্দ্রে টিকা নেন। এর বাইরে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২ হাজার ৫৬০ জন এবং জেলা পুলিশ হাসপাতালে ৫৩০ জন টিকা নিয়েছেন শনিবার। গতকাল ও আজ ১৬ হাজার ২শ’ করে আরও ৩২ হাজার ৪শ’ মানুষকে টিকা দেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে সিটি করপোরেশনের। গণটিকাদানে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, এ বিষয়ে জানতে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম সুমনের সাথে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।