স্টাফ রিপোর্টার :
ডেঙ্গু ছড়ানো এডিশ মশা বংশ বিস্তার করে বর্ষাকালে। ফলে বর্ষাকালকেই ডেঙ্গু ছড়ানোর জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়। তবে এবার পুরো বর্ষকাল ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে তেমন কোনো পদক্ষপও ছিলো না সিলেট সিটি করপোরেশনের। ফলে নগরীতে করোনা সংক্রমণের মধ্যেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখা দেয়। অবশেষে বর্ষার একেবারে শেষ সময়ে এসে ডেঙ্গু বিরোধী অভিযানে নেমেছে সিটি কর্পোরেশন। গতকাল শুক্রবার থেকে নগরীতে ১০ দিন ব্যাপী ডেঙ্গুবিরোধী অভিযান শুরু হয়।
অভিযানের উদ্বোধনকালে সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী করোনার মহামারির সময় জনজীবনে ডেঙ্গু যেন হানা দিতে না পারে সেজন্য সবাইকে সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কোনভাবেই যেন বাসা-বাড়ির ছাদ, ফুলের টব, এসির জমানো পানি, নারিকেলের খোসা, টায়ার-টিউব কিংবা টিনের কৌটা ইত্যাদি স্থানে পানি জমে না থাকে। কারণ এসব স্থানে ডেঙ্গু মশার জন্ম হয়। ডেঙ্গুসহ সব ধরণের মশার বংশ বিস্তার রোধে নগরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে নগরী জুড়ে ডেঙ্গু মশা রোধে পরিচালিত অভিযানের উদ্বোধন কালে মেয়র বলেন, সিসিকের এই অভিযানে আপনার বাড়ির আশপাশে মশার ঔষধ ছিটানো ও ফগার মেশিন দ্বারা ঔষধ ছড়ানো হবে। কিন্তু আপনার বাসা-বাড়ির ভেতরে যাতে ডেঙ্গু মশার উৎস না থাকে সেদিকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
এরই মধ্যে নগরীর দক্ষিণ সুরমায় ডেঙ্গু মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া গেছে জানিয়ে সিসিক মেয়র বলেন, সেসব স্থানে ঔষধ স্প্রে ও ফগার মেশিন দিয়ে ঔষধ ছড়ানো হয়েছে। কেউ যদি ডেঙ্গু মশার উৎসের সন্ধ্যান পান তবে দ্রুত সিসিককে জানালে আমরা উৎসেই ডেঙ্গুর বিস্তার বন্ধে পদক্ষেপ নেব।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, এবারের অভিযানে সিসিক কিছু গাড়িতে বহন করা উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন ফগিং মেশিন ব্যবহার করছে। যার ফলে কম সময়ে বেশি এলাকায় মশার ঔষধ ছড়ানো যাবে। এছাড়া হাতে বহন করা ফগার মেশিন দ্বারাও এডালটিসাইড ঔষধ ছড়ানো হচ্ছে, স্প্রে মেশিন দিয়ে লার্ভি সাইড ঔষধও ছিটানো হচ্ছে সম্ভাব্য উৎস স্থানে। তিনি জানান, প্রতিটি ওয়ার্ডে ১০ জন করে শ্রমিক টানা ১০ দিন মশক নিধনের এই অভিযান পরিচালনা করবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মো, নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) রুহুল আলম, সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) জয়দেব বিশ্বাস, সহকারী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. তানভীর আহমদ তামিম, জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ, মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী মো. মুহিবুল ইসলাম ইমন প্রমুখ।