স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটে করোনা সংক্রমণ দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিনই শনাক্ত ও মৃত্যুতে রেকর্ড গড়ছে করোনা। গতকাল শনিবার মারা যান ৯ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৩৪০ জন। গতকাল শুক্রবার ১৭ জন মারা গেছেন এবং ৮০২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এছাড়াও প্রতিটি ঘরে ঘরে মানুষ জ¦র, মাথা ব্যাথা, কাশি আক্রান্ত রয়েছেন। অনেকেই হাসপাতালের স্বরণাপন্ন হচ্ছেন না। প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করছেন। আবার যারা হাসপাতালে যাচ্ছেন তারা সাধারণ শয্যাও পাচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটের সবকটি হাসপাতাল কানায় কানায় রোগীতে পরিপূর্ণ। ফলে নতুন রোগী ভর্তি করতে পারছে না কোনো হাসপাতাল। এ অবস্থা চলতে থাকলে চিকিৎসা না পেয়েই মৃত্যুর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে সাধারণ শয্যা আছে ১০০টি। সবকটিই পরিপূর্ণ। হাসপাতালের ১৬টি আইসিইউ শয্যা রয়েছেন। সবটিতেই রোগী রয়েছেন। রোগীর অবস্থার উন্নতি না হলে আইসিইউ থেকে স্থানান্তর করা হয় না। অথবা, কোনো রোগীর মৃত্যু হলে আইসিইউ শয্যা খালি হয়। অর্থাৎ সুস্থ কিংবা মৃত্যুর অপেক্ষা করতে হয় অপেক্ষমাণ থাকা রোগীদের। এছাড়াও ওসমানী মেডিকেলের ৮টি আইসিইউ শয্যাও রোগীতে পরিপূর্ণ। আর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২০০টি আসনের বিপরীতে ২৩০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। জুলাই মাসে সিলেট জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮ হাজার ২৯৩ জনের। করোনায় মারা গেছেন ১৬০ জন। জেলায় এক মাসে সর্বোচ্চসংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে এটাই রেকর্ড।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, সিলেটে উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায় জানিয়েছেন, সচেতনতার অভাবে সিলেটে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এভাবে চলতে থাকলে রোগীদের সামাল দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। যেকোন উপায়ে লকডাউন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।