কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ায় আইসিইউয়ের (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) জন্য রাজধানী ও রাজধানীর বাইরের হাসপাতালগুলোতে হাহাকার পড়ে গেছে। কোন কোন হাসপাতালে কয়েকদিন ধরে আইসিইউয়ের শয্যার জন্য অপেক্ষা করতে করতে মৃত্যুবরণ করছেন রোগীরা। ডেল্টা ধরনে আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি ও অধিক পরিমাণে অক্সিজেন প্রয়োজন হওয়ায় তাদের অনেকে এ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই মারা যাচ্ছেন। সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে আগামীতে হাসপাতালে শয্যা পাওয়া কঠিন হবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোর অন্যতম রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ সংখ্যা অন্য হাসপাতালগুলোর চেয়ে বেশি। ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে গত সাতদিন ধরেই কোন আইসিইউ শয্যা খালি থাকছে না। তবে হাসপাতালটিতে সাধারণ শয্যা প্রতিদিনই কিছু না কিছু ফাঁকা থাকছে। কিন্তু রাজধানীর বাইরে থেকে আসা গুরুতর রোগীর চাপ বেশি থাকায় আইসিইউ শয্যা ফাঁকাই পাওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা গুরুতর রোগীর স্বজনরাও আইসিইউ শয্যা ফাঁকা হওয়ার প্রত্যাশায় সিরিয়াল দিয়ে অপেক্ষা করছেন। আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রোগী মারা গেলে অথবা সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হলেই কেবল মিলছে আইসিইউ বেড। ফাঁকা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শয্যাটি পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। কোন কোন রোগীর জরুরী ভিত্তিতে আইসিইউ সাপোর্ট লাগলেও তিনি সেটি পাচ্ছেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালটিতে কোভিড চিকিৎসায় নিয়োজিত এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ডেল্টা ধরনের কারণে সারাদেশই এখন হটস্পটে পরিণত হয়েছে। এই ধরনের রোগীর ফুসফুস দ্রুত আক্রান্ত হয় এবং বেশিরভাগ আক্রান্ত রোগীকে সময়মতো চিকিৎসা দিতে না পারলে সুস্থ করা কঠিন হয়ে পড়ে। আক্রান্ত রোগীদের কেউ কেউ ফুসফুসের ৭০ শতাংশের বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর হাসপাতালে আসছেন। তখন আর কিছু করার থাকছে না। আর ডেল্টায় আক্রান্তদের অন্য ধরনগুলোর চেয়ে অক্সিজেন সাপোর্ট বেশি লাগছে। সারাদেশেই করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ার কারণে জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে সীমাবদ্ধতার কারণে আইসিইউ সাপোর্ট দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেখানে চিকিৎসা না পেয়ে অনেক রোগী গত বছরের মতো এ্যাম্বুলেন্সেই মারা যাচ্ছেন। ঢাকার বাইরের রোগীদের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
দেশে করোনা সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে শীঘ্রই দেশের হাসপাতালগুলোতে শয্যার সঙ্কট দেখা দেবে। সংক্রমণ বাড়লে হাসপাতালে জায়গাও হবে না বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে শহরের হাসপাতালে আসা ৭৫ শতাংশ রোগী গ্রামের। ঈদে যাওয়া-আসার কারণে সংক্রমণ ৫ থেকে ৬ গুণ বেড়ে গেছে বলেও তিনি দাবি করেন।
জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা চিকিৎসায় আগামী শনিবার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটডোরে ফিল্ড হাসপাতাল চালু করা হবে। এখানে আইসিইউ শয্যা ২০০টি এবং হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলাসহ এক হাজারটি শয্যা থাকবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের শনিবারের তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর ১৬টি করোনা হাসপাতালের ৭টিতেই কোন আইসিইউ শয্যা ফাঁকা নেই। আইসিইউ ফাঁকা না থাকা হাসপাতালগুলো হলো – কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল (১০ শয্যা), শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল (১৬ শয্যা), সরকারী কর্মচারী হাসপাতাল (৬ শয্যা), ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (২০ শয্যা), মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (২৪ শয্যা), শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (১০ শয্যা) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল (২০ শয্যা)। অর্থাৎ করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া রাজধানীর সরকারী বড় সাতটি হাসপাতালের আইসিইউর সব শয্যায় রোগী ভর্তি রয়েছেন।
অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, কোভিড ডেডিকেটেড সংক্রামক হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেজ এ্যান্ড ইউরোলজি ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে রোগীদের করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলেও আইসিইউ শয্যার ব্যবস্থা নেই। বাকি ছয়টি হাসপাতালে মাত্র ৩৮টি খালি রয়েছে। এর মধ্যে ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল ১৪টি ও ২৫০ শয্যা টিবি হাসপাতালে ১২টি শয্যা রয়েছে। দুইটি হাসপাতালেই আইসিইউ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে রোগীর স্বজনদের নানা অভিযোগ উঠে এসেছিল।
জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে সারাদেশে করোনা সংক্রমণের হার নিচে থাকলেও সীমান্ত এলাকাগুলোতে ডেল্টা ধরনের কারণে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা দেয়। পরবর্তীতে কঠোর বিধিনিষেধেই এই ধরনটি ছড়িয়ে পড়ে। করোনার আলফা ও বিটা ধরনের চাইতে ডেল্টা ধরনটির সংক্রমণ ক্ষমতা কয়েকগুণ বেশি। সীমান্ত এলাকায় বিধিনিষেধ ও স্থানীয়ভাবে লকডাউনের পরও করোনা সংক্রমণ সারাদেশেই আশঙ্কাজনক হারে ছড়িয়েছে। সারাদেশই এখন করোনার হটস্পটে পরিণত হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রাজধানীর হেলথ এ্যান্ড হোপ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ লেনিন চৌধুরী বলেন, করোনার ডেল্টা ধরনটি আলফা ও বিটার তুলনায় অধিকহারে সংক্রমণ ঘটায়। কোন কোন ক্ষেত্রে এটি এ্যান্টিবডিকেও ফাঁকি দিতে পারে। আর আক্রান্ত রোগীকে দ্রুতই কাবু করে ফেলে। ফলে সংক্রমণের দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে রোগীর স্বাস্থ্যের চরম অবনতি ঘটায়। আগের ধরনের চেয়ে রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজন হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে আক্রান্ত রোগী কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফুসফুসের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন রোগীকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসার খুব বেশি সুযোগ থাকছে না।
রাজধানীর বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ ফাঁকা রয়েছে ২০ শতাংশ। সরকারী তুলনায় বেসরকারী পর্যায়ে আইসিইউ চিকিৎসার ব্যাপক খরচ হলেও রাজধানীর ২৮টি হাসপাতালে মোট ৫০৫টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ৯৯টি শয্যা।
রাজধানীর কোভিড ডেডিকেটেড ১৬ হাসপাতালের ছয়টি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা খালি আছে। কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারী হাসপাতালের ২৬ শয্যার মধ্যে একটি, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালের ১৫ শয্যার মধ্যে পাঁচটি, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের আট শয্যার মধ্যে দুটি, টিবি হাসপাতালের ১৬ শয্যার মধ্যে ১২টি, জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ১০ শয্যার মধ্যে চারটি, আর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের ২১২ শয্যার মধ্যে ১৪টি শয্যা ফাঁকা রয়েছে। অর্থাৎ তিনটি বাদে ১৩টি হাসপাতালের ৩৯৩টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ফাঁকা রয়েছে মাত্র ৩৮টি।
ঢাকার বাইরে সিলেট বিভাগের ৭টি হাসপাতালে মোট ২২টি আইসিইউ শয্যার বিপরীতে কোন আইসিইউ ফাঁকা নেই। সিলেট বিভাগের সিলেট শহীদ শামসুদ্দিন আহমেদ হাসপাতালে ১৬টি ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতাল মৌলভীবাজারে ৬টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। এছাড়া ৫টি হাসপাতালে কোন আইসিইউ নেই। ময়মনসিংহ বিভাগে চারটি হাসপাতালে ২২টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ফাঁকা রয়েছে ৮টি।
চট্টগ্রাম মহানগরসহ বিভাগে ১০৭টি আইসিইউ শয্যার বিপরীতে ফাঁকা রয়েছে ২২টি। রাজশাহী বিভাগের ১০টি হাসপাতালে ৫৮টি আইসিইউয়ের বিপরীতে ফাঁকা রয়েছে মাত্র ১৪টি। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২০টি শয্যার বিপরীতে মাত্র একটি ফাঁকা রয়েছে। রংপুর বিভাগে মোট ৪৪টি আইসিইউ শয্যার জায়গায় খালি রয়েছে ২০টি। খুলনা বিভাগে ১০টি হাসপাতালে ৭৪টি শয্যার বিপরীতে ফাঁকা রয়েছে ১৬টি। বরিশাল বিভাগে ৭টি হাসপাতালে মোট ৩৩টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। সেখানে রোগীর চাপ বাড়ায় মাত্র খালি রয়েছে ১১টি শয্যা। সবমিলে সারাদেশে মোট ১৩২১টি আইসিইউ শয্যার বিপরীতে ফাঁকা রয়েছে মাত্র ২৪৫টি শয্যা।
এ পরিস্থিতিতে সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হলে রোগীর বাড়তি চাপ সামলানো নিয়ে সংশয় রয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের। এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ নাজমুল বলেন, ঢামেক হাসপাতালে যে সংখ্যক আইসিইউ আছে, সেগুলো ফাঁকা থাকার সুযোগ নেই। বর্তমানে এ হাসপাতালে রোগী ভর্তি আছেন ৭২৪ জন। শয্যা খালি না থাকায় নতুন করে কো রোগী নিতে পার না। তিনি বলেন, প্রতিদিন ৬০ থেকে ৭০টা নতুন করোনা রোগী আসেন। শয্যা না থাকার পরও কয়েকজন রোগী ভর্তি নিতে হয়। কয়েকজন ক্রিটিক্যাল রোগীকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করতে হয়।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ মোঃ খলিলুর রহমান বলেন, আমাদের এখানে করোনা রোগীদের জন্য ১০টি আইসিইউ শয্যা রয়েছে। সবগুলো শয্যা রোগীতে পূর্ণ। একমাস ধরে এ অবস্থা। আইসিইউ শয্যার জন্য অনেকেই অপেক্ষা করেন। কোন একটি খালি হলে কমপক্ষে ১০-১৫ জন সিরিয়াল ধরেন। গত দুই সপ্তাহ ধরে রোগীর সংখ্যা ২০০ থেকে ২৫০-এ ওঠানামা করছে।
জন স্বাস্থ্যবিদরা ঈদুল আযহার আগে কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর থেকেই করোনার ভয়াবহ সংক্রমণের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। ঈদের ছুটির আগে শিথিলতার সুযোগ নিয়ে প্রায় ১ কোটি মানুষ ঢাকা ছেড়ে যায়। তার মধ্যে অর্ধেকের বেশি মানুষ গ্রামাঞ্চলে থেকে গেছেন। আগামী ৫ আগষ্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধে সরকারী-বেসরকারী অফিস, গার্মেন্টস, কলকারখানাসহ বেশিরভাগ বন্ধ থাকায় অনেকেই গ্রাম থেকে আর ফেরেনি। শুধুমাত্র ব্যাংক ও শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং জরুরী সেবার অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান খোলা থাকায় কর্মরতরাই শুধু ফিরেছেন। ঢাকার বাইরে অতিরিক্ত মানুষের চাপ সংক্রমণ বাড়াচ্ছে। আগের চেয়ে বেশি মানুষ এখন গ্রামে। সেখানে স্বাস্থ্য সচেতনতা কমই মানা হয়ে থাকে। ফলে গ্রামের মানুষের সংক্রমণের চাপ বেড়েছে জেলা সদর হাসপাতালগুলোতে।
উদ্বেগের দিক হলো, জেলা হাসপাতালগুলো নানা সঙ্কটে জর্জরিত। অনেক হাসপাতালেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) নেই। কোন কোন হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা আছে, তবে তা খালি পাওয়া দুষ্কর। উচ্চমাত্রায় অক্সিজেন দেয়ার ব্যবস্থারও ঘাটতি আছে। কোন কোন হাসপাতালে এখন রোগীকে মেঝেতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। চিকিৎসকসহ জনবলের ঘাটতি পূরণের উদ্যোগও দেখা যাচ্ছে না।
ভারত সীমান্ত ঘেঁষা চাঁপাইনবাবগঞ্জে জুন মাসে ডেল্টা ধরনের কারণে ব্যাপকভাবে সংক্রমণ শুরু হয়। সেখানে ডেল্টার সামাজিক সংক্রমণ ঘটার কারণে স্থানীয়ভাবে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। জেলার একমাত্র সদর হাসপাতালগুলোকে কোন আইসিইউ সেবা ছিল না। সেখানে সাধারণ শয্যায় কোভিড চিকিৎসা শুরু করা হয়। গুরুতর রোগীদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর ডেল্টার সংক্রমণে রাজশাহী, নওগাঁ, খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটসহ সারাদেশেই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একসঙ্গে সারাদেশেই সংক্রমণ বাড়ায় চিকিৎসার ওপর এখন চাপ পড়েছে। ঢাকার বাইরে আক্রান্ত রোগীদের যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তারা কেউ উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এছাড়া এখনও জেলা শহরে চিকিৎসা না পেয়ে ঢাকামুখী হচ্ছেন কোন কোন রোগী। তাদের কারণেই ঢাকার হাসপাতালগুলোতে আরও বেশি চাপ বাড়ছে। আগামী সপ্তাহে এই চাপ আরও বাড়বে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল আটটা থেকে রবিবার সকাল আটটা পর্যন্ত) সারাদেশে আরও ২২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ হাজার ২৭৪ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় নতুন রোগী শনাক্ত হয় ১১ হাজার ২৯১ জন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৬৪ হাজার ৬৩৫ জন।