বড়লেখা থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলীর স্ত্রী অ্যাডভোকেট কানিজ রেহনুমা ভাষা (৩৪) করোনার সঙ্গে যুদ্ধে হেরে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। বুধবার ভোরে সিলেট মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।
সকাল ৬টায় স্ত্রীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেন বড়লেখা ইউএনও খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী। তখনই বিভিন্ন মহলে শোকের ছায়া নেমে আসে।
বিকালে মরহুমার বাবার বাড়ি সুনামগঞ্জে জানাযা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এডভোকেট কানিজ রেহনুমা ভাষা ঢাকাস্থ সুনামগঞ্জ সমিতির সাধারণ সম্পাদক। সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মরহুম গোলাম রব্বানী এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও সুনামগঞ্জ জজকোর্টের পিপি অএডভোকেট শাহানা রব্বানীর মেয়ে তিনি।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সন্তানসম্ভাবা এডভোকেট রেহনুমা ভাষার করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ৭ জুলাই তাকে সিলেট মাউন্ট এডোরা হসপিটালে ভর্তি করা হয়। ক্রমশ তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। বুধবার ভোরে তিনি ইন্তেকাল করেন।
প্রেসক্লাবের শোক : বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলীর স্ত্রী হাইকোর্টের আইনজীবী কানিজ রেহনুমা ভাষার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বড়লেখা প্রেস ক্লাব। শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন- প্রেসক্লাব সভাপতি অসিত রঞ্জন দাস, সম্পাদক এডভোকেট গোপাল দত্ত, যুগান্তর প্রতিনিধি আব্দুর রব, কালের কণ্ঠ প্রতিনিধি লিটন শরীফ, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইকবাল হোসেন স্বপন, সাংবাদিক মিজানুর রহমান, কাজী রমিজ উদ্দিন, জালাল আহমদ, তপন কুমার দাস, আদিব মজিদ, এজে লাভলু প্রমুখ।
এছাড়াও মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামনা ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন- মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান, বড়লেখা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ উদ্দিন, পৌরসভার মেয়র আবুল ইমাম মো. কামরান চৌধুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন, রাহেনা বেগম হাসনা, অফিসার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাওলাদার আজিজুল ইসলাম, থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার, উপজেলা প্রকৌশলী সামছুল হক ভুইয়া, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. উবায়েদ উল্লাহ খান, সমাজসেবা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।