স্টাফ রিপোর্টার :
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি হওয়ায় দেশে সীমিত পরিসরে চলছে দ্বিতীয় দিনের মতো লকডাউন। তবে সিলেটের চিত্র একেবারে উল্টো। গতকালের মতো আজও নগরীর বন্দরবাজারস্থ হেড পোষ্ট অফিসে স্কুল-পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা নিতে আসা অভিবাবকদের দেখা যায় দীর্ঘ লাইন। নগদ নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে তাদের দীর্ঘ লাইন।
গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে পোস্ট অফিসের সামনে দীর্ঘ লাইন। সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে টাকা তুলতে লাইনে এসে দাঁড়িয়েছেন অভিভাবকরা। নগদ অ্যাকাউন্টে সমস্যা দেখা দেয়ায় সরকারের দেয়া টাকা তুলতে পারছে না ভুক্তভোগিরা। আর তাই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাদেরকে। করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অভিবাকরা ভিড় করায় করোনা ছড়ানোর আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে।
লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা শাহজালাল উপশহরের এক বাসিন্দা বলেন, পিন নাম্বারের মাধ্যমে টাকা তুলতে হয়। পিন নাম্বার না থাকায় তুলতে পারছি না।
উপস্থিত একজন অভিভাবক জানান, সরকার করোনার কারণে নগদ অ্যাকাউন্টে টাকা দিয়েছে। কিন্তু আমরা তা তুলতে পারতেছিনা। এমনকি পিন নাম্বারও কাজ করছে না। সেজন্য আমরা সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছে নগদ অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার নেয়ার জন্য। পোস্ট অফিস থেকে পিন নাম্বার পরীক্ষা করে আবার আমাদের দিচ্ছেন। তিনি জানান, সরকার থেকে করোনাকালে উপবৃত্তির টাকা দেয়া হয়েছে নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। কিন্তু টাকা তুলা যাচ্ছে না। তাই সকাল থেকে পিন নাম্বারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছি। প্রায় ৩ ঘণ্টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি পিন নাম্বারের জন্য।
কোম্পানীগঞ্জ থেকে আসা আরেক অভিভাবক তারেক জানান, নগদে অ্যাকাউন্ট রয়েছে কিন্তু তার সেই অ্যাকাউন্টে টাকা দেখাচ্ছে না। এ নিয়ে তিনি ৪ দিন হলো পোস্ট অফিসে কিন্তু তবুও কাজ হচ্ছে না। পুরাতন অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার বাতিল হয়ে যাওয়ায় নতুন করে পিন নাম্বার দিয়ে টাকা তুলতে হবে। তাই আজ না কাল বলে দেওয়া হবে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে নামপ্রকাশে পোস্ট অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, এখানে নগদের কাউন্টার রয়েছে মাত্র একটি। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার থেকে অনেকেই আসছেন। একটি কাউন্টার থেকে এত লোককে সার্ভিস দেওয়া সম্ভব না। যার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, কাউন্টার বাড়ানোর বিষয়টি আমাদের নয়। এটি মূলত নগদ কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। তিনি আরও বলেন, অনেকের নগদ অ্যাকাউন্ট নেই। কিন্তু মোবাইলে টাকা দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার অনেকের পিন নাম্বার ভুলে গেছে সেগুলো ঠিক করতে আসছেন। একটি কাউন্টার থেকে এতগুলো সেবা দিতে সময় লাগছে ৫-৭ মিনিট। তাই এই সমস্যা হচ্ছে।